Advertisement
৩১ মার্চ ২০২৩
Union Budget 2023-24

‘সিকল সেল অ্যানিমিয়া’ কী? বাজেট পেশের সময়ে অর্থমন্ত্রীর মুখে কেন এল এই রোগের নাম?

সচেতনতা গড়ে তুলতে সরকারি বাজেটে স্থান পেয়েছে রক্তের বিরল রোগ ‘সিকল সেল অ্যানিমিয়া’। কারা আক্রান্ত হতে পারেন এই রোগে?

Symbolic image of RBC

বাবা-মায়ের শরীর থেকে এই রোগ যেতে পারে সন্তানের দেহে। ছবি- সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:২৩
Share: Save:

‘থ্যালাসেমিয়া’ রোগটির সঙ্গে পরিচিত হলেও ‘সিকল সেল অ্যানিমিয়া’ ততটা চেনা নয়। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষের বাজেটে এই রোগটি জায়গা করে নিল কেন? ২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে, জিনবাহিত এই রক্তের রোগটির বাহকের সংখ্যা দেশে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৪ লক্ষ।

Advertisement

বুধবার বাজেট পেশ করার সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও সে রোগের কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বলেন, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে এই রোগ দূর করার চেষ্টা চালু করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে সচেতনতামূলক প্রচারের মাধ্যমে সতর্ক করার কাজ চালানো হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। এ কাজে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারের সঙ্গে হাত মেলাবে কেন্দ্র।’’

‘সিকল সেল অ্যানিমিয়া’ রক্তের এক ধরনের রোগ। পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে যে ধরনের হিমোগ্লোবিন থাকে, এই রোগে আক্রান্ত হলে তা আর থাকে না। লোহিত কণিকার আকারগুলিও সাধারণের মতো নয়। ‘সিকল’ অর্থাৎ, কাস্তের মতো দেখতে হয়। সাধারণত সুস্থ কোষগুলি গোল হয়ে। কিন্তু ‘সিকল সেল’ হয় কাস্তের মতো দেখতে। বাবা-মায়ের শরীর থেকে সেই রোগ যেতে পারে সন্তানের দেহে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন চিকিৎসক অদ্রিজা রহমন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই অ্যানিমিয়া যেহেতু জিনবাহিত, তাই কে এই রোগে আক্রান্ত হবেন, কে হবেন না, তা বলা সম্ভব নয়। আফ্রিকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকলেও আমাদের দেশেও সংখ্যাটা বেশ ভয় ধরাচ্ছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।’’ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ সংক্রান্ত জটিলতা বাড়ে। নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ছড়ায়।

এই অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হলে তা বেশ চিন্তার বিষয় বলেই মনে করান অদ্রিজা। তিনি বলেন, “আমি তো বলি বিয়ের আগে কুষ্ঠি নয়, রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ, সদ্যোজাতের শরীরে যদি এই রোগের সন্ধান পাওয়া যায়, তা হলে ধরে নিতেই হবে মা বা বাবা কেউ এক জন এই জিনের ধারক এবং বাহক। তাই এই রোগ ঠেকানোর উপায় একমাত্র রক্ত পরীক্ষা।”

Advertisement

ভারতে এই রোগ নিয়ে বিশেষ সচেতনতা নেই। এর চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। কিন্তু সরকারি সাহায্য থাকলে এই রোগকে গোড়াতেই নির্মূল করা সম্ভব বলে জানালেন অদ্রিজা।

‘সিকল সেল অ্যানিমিয়া’ কি আদৌ প্রতিরোধযোগ্য?

জিনবাহিত এই রোগ চিরতরে দূর করা সম্ভব নয়। তবে এই জিন ছড়ানো আগে আটকানো যেতে পারে। তাই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন চিকিৎসক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.