আপনার শিশুর কি ডিমে অ্যালার্জি রয়েছে? শিশুদের মধ্যে ডিমে অ্যালার্জি খুবই সাধারণ ব্যাপার। অনেক ক্ষেত্রে তা বয়সের সঙ্গে কেটেও যায়। অনেকে আবার সংক্রমণের ভয় শিশুকে ডিম খেতে দিতেই চান না। ফলে ডিমের মতো অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত থেকে যায় সেই সব শিশুরা। অথচ, ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ সব কিছুই শিশুর বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে গবেষকরা জানাচ্ছেন, শিশুর ডিমে অ্যালার্জি থাকলেও ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠতে পারেন এই অ্যালার্জি। জেনে নিন কী ভাবে।
২০০৮ সালে ৯৪ জন শিশুকে নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আথেন্সের কাপোডিস্ট্রিয়ান ইউিনিভার্সিটি ও ন্যাশনাল পেডিয়াট্রিক হাসপাতালের চিকিত্সক জর্জ এন কন্সট্যানটিনউ। গবেষণার সময় শিশুদের বয়স ছিল ১-৪ বছর। গড় বয়স ছিল ২ বছর। ৯৪ জন শিশুর মধ্যে ৫৫ জনের ডিমে অ্যালার্জি ছিল। বাকি ৩৯ জন শিশুর ত্বক পরীক্ষায় ডিমের প্রতি সংবেদনশীলতা ধরা পড়ায় তাদের কখনও ডিম খেতেই দেওয়া হয়নি।
বেকড ডিম
গবেষণার শুরুতে গবেষকরা শিশুদের রোজ ১টা করে ডিমযুক্ত স্পেশাল কেক দিতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাদের আরও বেশি কেক খাওয়ানো হয়। দেখা যায়, ৯০ শতাংশ শিশু (৮৭ জন) ডিমযুক্ত কেক খাওয়ার পরও সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। চার জন শিশুর গায়ে র্যাশ দেখা দেয়, দু’জন শিশুর হাঁপানির মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দেয় ও একজন শিশু একজিমায় আক্রান্ত হয়।
এর ৬ মাস পর যেই ৮৭ জন শিশু ডিম সহ্য করতে পেরেছিল তাদের রোজ ডিম খেতে দেওয়া হয়। এ বারও মাত্র চারজন (তিন জনের গায়ে র্যাশ দেখা দেয় ও এক জনের একজিমা হয়) ছাড়া প্রত্যেকেই ডিম খাওয়ার পরও সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
আরও পড়ুন: চিন্তার কি কোনও ভাল গুণ আছে? গবেষকরা বলছেন আছে
কেন বেকড ডিম?
গবেষকরা জানাচ্ছেন, অধিক তাপমাত্রায় বেক করার ফলে ডিমে অ্যালার্জেন তৈরি হয়। তা অ্যালার্জির প্রকোপ রুখতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিশুরা ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিনের প্রতি সংবেদনশীল হয়, কোনও কোনও শিশুর ডিমের কুসুমে থাকা প্রোটিনের প্রতিও সংবেদনশীলতা দেখা যায়।
অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy