রাগের বশে ঠাকুরমাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে দেহ পুঁতে ফেলেন নাতি। প্রতীকী ছবি।
নাতির কিনে আনা ফুলকপির মাঞ্চুরিয়ান পছন্দ হয়নি ঠাকুরমার। তা নিয়ে শুরু হয় বিতণ্ডা। রাগের বশে ঠাকুরমাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে দেহ পুঁতে ফেলেন নাতি। দেহ লোপাটের কাজে তাকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর মা এবং এক বন্ধু নন্দীশ। বেঙ্গালুরুর কেনগেরি স্যাটেলাইট টাউন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের অগস্ট মাসে। তার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যান খুনের দায়ে অভিযুক্ত ২৭ বছর বয়সি সঞ্জয় বাসুদেব রাও এবং তাঁর মা শশীকলা। প্রায় ৬ বছর পর মহারাষ্ট্রের একটি এলাকা থেকে সঞ্জয় এবং শশীকলাকে গ্রেফতার করল বেঙ্গালুরু পুলিশ। নন্দীশের এখনও খোঁজ চলছে।
বেঙ্গালুরুর ওই বাড়িতে নাতি এবং বউমার সঙ্গে থাকতেন ওই বৃদ্ধা। নাতি এবং বউমার সঙ্গে তাঁর প্রায়ই ঝগড়া হত। সে দিন বিবাদ চরমে ওঠে। সঞ্জয়কে ফুলকপির মাঞ্চুরিয়ান আনতে পাঠিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেটি খাওয়ার পর পছন্দ হয়নি তাঁর। সে কথা সঞ্জয়কে জানাতেই শুরু হয় তর্কাতর্কি। দু’পক্ষই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হঠাৎ রাগের বশে ভারী অস্ত্র দিয়ে ঠাকুরমার মাথায় আঘাত করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। ভয় পেয়ে যান স়ঞ্জয়। মা এবং বন্ধুকে ডেকে আনেন। শাবল দিয়ে ঘরের সিমেন্টের মেঝে খুঁড়ে ঠাকুরমার দেহ পুঁতে দেন। তার পরই মাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান। বেশ কিছু দিন বাড়ি থেকে কারও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে প্রতিবেশীদের মনে। তাঁরা এসে খোঁজখবর শুরু করতেই আসল ঘটনা সামনে আসে। পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মেঝে খুঁড়ে দেহ বার করে নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। কিন্তু চিরুনিতল্লাশি করেও কোনও সন্ধান মেলেনি। শেষ পর্যন্ত ৬ বছর পর ওই দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মহারাষ্ট্রের একটি রেস্তরাঁয় কাজ করতেন ওই দু’জন। সম্প্রতি স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন তাঁরা। সেই সূত্র ধরেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্তরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy