Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Mother-Son

‘সংসার ছেড়ে মা কখনও বেরোননি’, চাকরি পেয়ে মাকে বিদেশ সফরে নিয়ে গিয়ে লিখলেন ছেলে

বিদেশে চাকরি পেয়ে প্রথম মাকেই সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন অন্য এক দেশ দেখাতে। ছেলের সঙ্গে মায়ের বিদেশ ভ্রমণের ছবি মন কেড়েছে অনেকের।

বিদেশে চাকরি পেয়ে প্রথম মাকেই সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন অন্য এক পৃথিবী দেখাতে।

বিদেশে চাকরি পেয়ে প্রথম মাকেই সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন অন্য এক পৃথিবী দেখাতে। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:২৬
Share: Save:

বিদেশে যাওয়া তো দূর, কোনও দিন গ্রামের বাইরে পা রাখেননি মা। কেমন দেখতে হয় বিমান, কোনও ধারণাই ছিল না। তাই বিদেশে চাকরি পেয়ে প্রথম মাকেই সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন অন্য এক পৃথিবী দেখাতে। ছেলের সঙ্গে মায়ের সেই বিদেশ ভ্রমণের ছবি নিয়ে মন কেড়েছে অনেকের।

দত্তাত্রে জে নামে ওই যুবক পেশায় ব্লকচেন ডেভেলপার। চাকরিসূত্রে তাঁর বর্তমান ঠিকানা সিঙ্গাপুর। কিছু দিন আগে বাড়ি এসেছিলেন। ফেরার সময়ে মাকে সঙ্গে করে নিয়ে যান তিনি। সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন জায়গা মাকে ঘুরিয়ে দেখান। ছবিও তোলেন মায়ের সঙ্গে। তেমনই একটি ছবি সমাজমাধ্যমে দিয়ে জে লেখেন, ‘‘আমাদের গোটা পরিবারে মা প্রথম যিনি বিদেশের মাটিতে পা দিলেন। যে গ্রামে আমরা থাকি, সেখান থেকেও কেউ কোনও দিন বিদেশ যাননি। আমি চেয়েছিলাম আমার মা কোনও ভাবে এগিয়ে থাকুন। তাই মাকে নিয়ে এলাম সিঙ্গাপুর ঘোরাতে। মা নিজেও সংসার ছেড়ে কখনও বেরোননি। বিদেশ দিয়েই শুরু হোক মায়ের সফর।’’ জে বাবাকে হারিয়েছেন অনেক দিন আগে। বাবাকে নিয়ে আসতে পারেননি বলে আফসোস রয়েই গিয়েছে।

মা-বাবারা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে সন্তানকে বড় করে তোলেন। পড়াশোনা শেখান। সাধ্যমতো ইচ্ছাপূরণ করেন। নিজেদের শখ-আহ্লাদের কথা না ভেবে সন্তানের ইচ্ছা-অনিচ্ছার খেয়াল রাখেন। তাঁরা শুধু সন্তানকে সফল দেখতে চান। তাতেই তাঁদের প্রাপ্তি। কিন্তু সন্তানের হাত ধরে কোনও শখপূরণ হওয়ার অনুভূতি আলাদাই। মাকে নিয়ে ওই যুবকের বিদেশ ঘোরার ছবি তাই মুহূর্তের মধ্যে মন ছুঁয়ে গিয়েছে ৩ লক্ষ মানুষের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mother-Son Abroad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE