ইলিশ-খিচুড়ির মিশেলে জমজমাট বর্ষা।
এই বর্ষায় বাঙালি হেঁশেলে দুটো জিনিসেরই রমরমা। খিচুড়ি আর ইলিশ। আর যদি ইলিশ আর খিচুড়িকে মিলিয়ে দেওয়া যায় তা হলে তো সোনায় সোহাগা! তাই বৃষ্টির মরসুমে মিশিয়ে দিন এদের আর দুপুর বা রাতের খাবার টেবিল জমে যাক আপনার হাতযশে।
ইলিশ মাছের খিচুড়ি মূলত পাবনা-খুলনার হলেও, স্বাদ মাহাত্ম্যেই তা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বঙ্গে। পকেটসই দামের ইলিশের মরসুমে এই পদ ছাড়া কি অন্য কিছু ভাবা যায!
দেখে নিন সহজ উপায়ে ইলিশ-খিচুড়ি রান্নার পদ্ধতি।
উপকরণ
ইলিশ মাছ: ১টি
পোলাওয়ের চাল: ৩ কাপ
নারকেলের দুধ: ১ কাপ
লঙ্কা: স্বাদ অনুযায়ী
মুসুর ডাল: দেড় কাপ
রসুন বাটা: ১ চা চামচ,
পিঁয়াজ কুচি: ২ চা চামচ
আদা বাটা: ১/২ চা চামচ,
ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
ধনে পাতা
হলুদ: ১ চা চামচ,
এলাচ: ২টি
তেল: ১/২ কাপ
দারুচিনি: কয়েক টুকরো
নুন: স্বাদ মতো
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা সাত স্যান্ডউইচ, কী দিয়ে তৈরি হয় দেখুন
প্রণালী:
প্রথমেই ইলিশ মাছ কিনুন বড় আকারের। মাছ বড় টুকরো করে কাটতে হবে। মাছে নুন ও হলুদ দিয়ে মেখে হালকা তেলে নেড়েচেড়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে সামান্য তেলে ডাল ভেজে রাখুন। এর পর কড়ায় তেল গরম করে দারুচিনি ফোড়ন দিন। এ বার তেলে কুঁচোনো পিঁয়াজ ছেড়ে দিন। ভাজা লালচে হয়ে এলে সব মশলা দিয়ে কষাতে থাকুন। মিনিট দশেক কষানোর পর মশলা তৈরি হয়ে এলে এতে ইলিশ মাছের হালকা করে ভেজে রাখা টুকরোগুলো যোগ করুন। তবে ইলিশ নরম মাছ, তাই কড়ায় দিয়ে বেশি খুন্তি চালাবেন না। খানিক ক্ষণ মশলার মধ্যে রেখে মাছগুলো মশলা থেকে আলাদা করে তুলে রাখুন। এ বার ওই মশলায় চাল-ভাজা ডাল মেশান। এ বার মাপ মতো গরম জল দিয়ে ঢেকে দিন। খিচুড়ির জল কমে এলে তুলে রাখা মাছগুলো দিয়ে নারকেলের দুধ মেশান। ঢিমে আঁচে রাখুন মিনিট দশ ৷ নামানোর আগে উপর থেকে ছড়িয়ে দিন ধনে পাতা কুচি। তা হলেই তৈরি আপনার সাধের ইলিশ-খিচুড়ি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy