কোহিনুর কার? ছবি- সংগৃহীত
ইংল্যান্ডের রাজা-রানির মুকুটে থাকা কোহিনুর হিরে ভগবান জগন্নাথের সম্পত্তি। তাই ইংল্যান্ড থেকে ফিরিয়ে এনে হিরেটি দান করে দেওয়া হোক পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। এই মর্মে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে স্মারকলিপি জমা দিল ওড়িশার ধর্মীয় সংগঠন— শ্রীজগন্নাথ সেনা।
ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ইংল্যান্ডের রাজা হয়েছেন তাঁর বড় ছেলে তৃতীয় চার্লস। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, কোহিনুর বসানো মুকুটটি ওঠার কথা চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলার মাথায়। ওড়িশার ওই সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রিয়দর্শন পট্টনায়ক ওই স্মারকলিপিতে আর্জি জানিয়েছেন সেটি ফিরিয়ে আনার।
প্রিয়দর্শন দাবি করেছেন, মহারাজা রঞ্জিৎ সিংহ আফগান শাসক নাদির শাহের সঙ্গে যুদ্ধে জয় লাভ করার পর হাতে পান হিরেটি। রঞ্জিৎ সিংহ তাঁর নিজের উইলে হিরেটি দান করে দিয়ে যান জগন্নাথকে। তাই এটি জগন্নাথের সম্পত্তি। রাষ্ট্রপতিকে হিরেটি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতেও অনুরোধ করা হয় ওই স্মারকলিপিতে।
পট্টনায়ক জানিয়েছেন, এই প্রথম নয়, কয়েক বছর আগে এই মর্মে সংগঠনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় ইংল্যান্ডের বাকিংহাম প্যালেসের সঙ্গে। ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর সেখান থেকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে। জানানো হয়, রানি নিজের মন্ত্রীদের পরামর্শ মেনে সব কাজ করেন ও রাজনৈতিক বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকেন। পট্টনায়কের দাবি, এর পর তিনি ব্রিটেনে যেতে চাইলেও ভিসা দেওয়া হয়নি তাঁকে।
কোহিনুরের মালিকানা নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কয়েক বছর আগে একটি আরটিআইয়ের জবাবে ‘আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’ জানিয়েছিল, লাহৌরের তৎকালীন শাসকের থেকে ব্রিটেনের তৎকালীন রানির কাছে যায় হিরেটি। তবে হাতবদল নয়, সমর্পণ করা হয়েছিল সেটি। রানির মৃত্যুর পর মুকুটের মালিকানা বদল হওয়ার সময়েই ফের আলোচনার কেন্দ্রে চলে এল বহুচর্চিত এই হিরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy