এই ধরনের বিরতির অর্থ কী?
অনেক সময় ভালবাসা থাকার পরেও একসঙ্গে থাকা কঠিন হয়ে ওঠে। কখনও দীর্ঘমেয়াদী মতান্তর, কখনও আদর্শগত বিরোধ, কখনও বা পেশাগত আশা-আকাঙক্ষার তফাত— একাধিক কারণে বনিবনার অভাব হতে পারে দু’জনের। অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে, সম্পর্ক ভেঙে ফেলতেও বাধ্য হন অনেকে। যাঁরা এই ধরনের সাময়িক টানাপড়েনের জন্য সম্পর্ক ভাঙতে চান না, তাঁদের অনেকেই এখন স্থায়ী বিচ্ছেদের বদলে বেছে নিচ্ছেন সাময়িক বিরতি। এই পদ্ধতিতে দু’জনেই কিছু সময়ের জন্য আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। বিরতির পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন ফের একসঙ্গে থাকবেন কি না।
কী কী করণীয়:
১। বিরতির আগে দু’জনে মিলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কতদিন আলাদা থাকতে চান।
২। আলাদা থাকার সময় একে অন্যের সঙ্গে কতটুকু যোগাযোগ রাখবেন বা আদৌ রাখবেন কি না, স্থির করতে হবে আগে থেকেই।
৩। ঘাবড়াবেন না আগে থেকে। যে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বুক দুরু দুরু করাই স্বাভাবিক। তবে মনে রাখবেন, ভালবাসা থাকলে ফিরতে অসুবিধা হবে না। না ফেরার হলে, বিরতি নেওয়ার সময় স্পষ্ট হয়ে যাবে তাও।
৪। সম্পর্কের চাপে অনেক সময়েই বিগড়ে যায় মানসিক স্বাস্থ্য। এই সময়ে প্রয়োজনে পরামর্শ নিতে পারেন মনোবিদের।