প্রেমপ্রস্তাবে না করার সহজ উপায় ছবি: সংগৃহীত
সরস্বতী পুজোই হোক কিংবা ভ্যালেন্টাইনস ডে, চারিদিকে এখন প্রেমের মরশুম। কিন্তু ভালবাসা কি আর সহজে মেলার জিনিস! কাকে কার ভাল লাগে, আর কাকেই বা মনে ধরে না, তা কারও পক্ষেই বলা সম্ভব নয়। কাজেই কেউ প্রেম প্রস্তাব দিলে অনেক ক্ষেত্রেই করতে হয় প্রত্যাখ্যান। কিন্তু অনেকের কাছেই আবার মুখের উপর প্রত্যাখ্যান করা সহজ কাজ নয়।
১। প্রেমে পড়া বা না পড়ার সত্যিই কোনও লিখিত নিয়ম নেই। কাজেই ভালবাসা থাকলে যেমন স্পষ্ট করে বলা উচিত, না থাকলেও সেটা স্পষ্ট করে বলে দেওয়াই ভাল। অনেক সময়ে দেখা যায়, কেউ দীর্ঘদিন পর কোনও মানুষের প্রতি ভালবাসা অনুভব করেন। সে ক্ষেত্রে পরিচিত মানুষকে মুখের উপর ‘না’ করা সহজ নয়। কিন্তু এটাও সত্যি যে, দীর্ঘদিন সুসম্পর্কে থাকার পর ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ‘না’ বলার থেকে সরাসরি ‘না’ বলাই ভাল।
২। যদি স্বল্প পরিচিত কেউ ডেটের প্রস্তাব দেন এবং সরাসরি ‘না’ করতে দ্বিধা বোধ হয়, তা হলে বলতে পারেন আপনি অন্য কারও প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই তাঁকে ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে এগোতে আপনি আগ্রহী নন।
৩। কোনও সম্পর্কেই যেতে চান না, এমন মানুষেরও অভাব নেই সমাজে। যদি তেমনই হয়, সরাসরি বলে দিন যে আপনি কোনও রকম সম্পর্কে জড়ানোর মতো মানসিক অবস্থায় নেই।
৪। যদি প্রিয় কোনও মানুষের তরফ থেকে এমন প্রস্তাব আসে এবং সরাসরি প্রত্যাখ্যান করতে অসুবিধা হয়, তবে ছোট কিন্তু সুন্দর চিঠিতে লিখে বলতে পারেন সেই কথা। যদি অপরিচিত কেউ হন, সরাসরি দেখাতে পারেন কাজের ব্যস্ততা। অতিকথন ছাড়া এড়িয়ে যাওয়ার অব্যর্থ উপায় এটি।
৫। অনেকে অনেক রকম অপরাধবোধে ভোগেন এই প্রত্যাখ্যান নিয়ে। কিন্তু মনে রাখবেন, যে কোনও সম্পর্কের মূল সূত্রই হল সদিচ্ছা। নিজের ইচ্ছের বাইরে বেরিয়ে কাউকে তুষ্ট করার জন্য কিছু করলে আদতে দুজনেরই ক্ষতি হয়। সত্যিটা কঠিন হলেও সেটা অপরজনের জন্য শেষ পর্যন্ত বেশি মঙ্গলজনক হবে। কাজেই প্রেমের প্রস্তাবে না করার পর অপরাধ বোধে ভোগার আদপেও সমীচীন নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy