Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কী কী কারণে টাক পড়ে জানেন?

নির্দিষ্ট সময় অন্তর চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু টাক পড়া নয়। নানা কারণে টাক পড়তে পারে। রয়েছে চিকিৎসাও। তবে টাক ঢাকতে বিশাল খরচ করে চুল প্রতিস্থাপনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন চিকিৎসক শর্মিষ্ঠা দাস নির্দিষ্ট সময় অন্তর চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু টাক পড়া নয়। নানা কারণে টাক পড়তে পারে। রয়েছে চিকিৎসাও। তবে টাক ঢাকতে বিশাল খরচ করে চুল প্রতিস্থাপনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন চিকিৎসক শর্মিষ্ঠা দাস

চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ। ছবি: বিকাশ সিংহ।

চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ। ছবি: বিকাশ সিংহ।

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৮ ০১:৩১
Share: Save:

প্রশ্ন: টাক নিয়ে দুশ্চিন্তা কমবেশি সবারই। কী বলবেন?

উত্তর: নিজের চুলের ঘনত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট এমন মানুষ খুব কমই আছেন। প্রতি দিন স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট জীবনচক্র শেষ করে কিছু পুরনো চুল পড়ে যায় আর নতুন চুল গজায়। তবু প্রায় সব মানুষকেই বলতে শোনা যায়, মাথা একেবারে ফাঁকা হয়ে গেল! কিন্তু সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে মাথা একেবারে ফাঁকা কখনওই হয় না। মাথার ত্বকের লোমকূপের কোনও সমস্যা, চুলের কোনও রোগ বা শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনও সমস্যা থেকেই মাথা একেবারে ফাঁকা হয়। যাকে চলতি ভাষায় টাক পড়া বলে।

প্রশ্ন: টাকের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সম্পর্ক আছে বলে অনেকে মনে করেন। এটা কি ঠিক?

উত্তর: টাক কারও ব্যক্তিত্বের বিকাশে বাধা হতে পারে না। শেক্সপিয়র, গাঁধীজি, সুভাষচন্দ্র বসু-সহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তির টাক ছিল। কিন্তু সবাই তো আর অমন প্রবল ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হন না। আসলে মাথা ভরা ঘন কালো চুল চিরদিনই মানুষের সৌন্দর্যের একটা প্রধান মাপকাঠি হিসাবে মর্যাদা পেয়ে এসেছে। তাই এক জন সফল ইঞ্জিনিয়ার যুবক মাথায় চওড়া টাকা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। প্রায় কাঁদো কাঁদো স্বরে তিনি বলেন, টাকের জন্য নাকি তাঁর বিয়ে ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই হীনমন্যতাকে দোষও দেওয়া যায় না।

প্রশ্ন: টাকের শুরু কোন বয়সে হতে পারে?

উত্তর: টাকের ব্যাপারে বুঝতে গেলে চুলের গোড়ার কথা একটু জানতে হবে। জন্মের সময় মানুষের মাথার ত্বকে প্রায় এক লক্ষ চুলের গোড়া বা হেয়ার ফলিকল থাকে। একটি চুলের জীবনচক্রের তিনটি দশা। প্রথম তিন বছর হল অ্যানাজেন দশা। নতুন চুল বেড়ে ওঠার সময়। এর পরে ২-৪ সপ্তাহের একটা স্বল্পস্থায়ী পর্যায় হল ক্যাটাজেন। এর পরে ৩-৪ মাসের টেলোজেন দশা শেষ করে চুল পড়ে যায়। আবার নতুন চক্রের চুল এসে শূন্যস্থান পূরণ করে।

প্রশ্ন: টেলোজেনের পরে তো তা হলে সাময়িক ভাবে মাথা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কথা?

উত্তর: সেটা হবে না। কারণ, মাথায় বিভিন্ন চুল বিভিন্ন দশায় থাকে। তাই এক সঙ্গে মাথার পুরোটা কখনও ফাঁকা হয়ে যায় না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যানাজেন দশার সময় কমে এবং দু’টি চক্রের মধ্যবর্তী সময় বাড়ে। তাই এক জন প্রৌঢ় কখনও কিশোর বয়সের মতো চুলের ঘনত্ব আশা করতে পারেন না।

প্রশ্ন: এটা কি সবার ক্ষেত্রে এক?

উত্তর: কোনও শারীরিক ব্যাধি যদি নাও থাকে তবু চুলের ঘনত্ব এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। তবে যে কোনও বয়সেই ৯০ শতাংশ অ্যানাজেন ও ১০ শতাংশ টেলোজেন চুল থাকার কথা। ঋতু বিশেষে আবার এই ভাগও বদলে যায়।

প্রশ্ন: চুলে কোনও গন্ডগোল হচ্ছে কি না তা কী ভাবে বোঝা যায়?

উত্তর: চিকিৎসক অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করেন। বাড়িতে যন্ত্র ছাড়াও চুলের সমস্যা জানা যেতে পারে। ৩ থেকে ৮ বার পর্যন্ত যদি মাথার বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫০-১০০টি চুল গোছা হিসেবে ধরে টানার পরে যদি ৩-৫ টির বেশি চুল উঠে না আসে তা হলে জানতে হবে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। অস্বাভাবিক চুল পড়াকে ডাক্তারি পরিভাষায় অ্যালোপেসিয়া বলে।

প্রশ্ন: সবার টাক তো এক ধরনের দেখতে হয় না। এর কারণ কী?

উত্তর: অ্যালোপেসিয়া তিন ধরনের হয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ সময়ে যে টাক পড়া নিয়ে চর্চা শোনা যায় তা আসলে অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া বা পুরুষসুলভ টাক পড়া। একটা বিশেষ আকৃতিতে মাথা ফাঁকা হতে শুরু করে। প্রথমে চুল উঠে কপালের দু’ধার প্রশস্ত হয়ে যায়। তার পরে মাথার উপরের দিকের চুল উঠতে থাকে। অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের দ্বারা চুল ওঠা প্রভাবিত হয়ে থাকে। জন্ম থেকেই কোন কোন চুল এই হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হবে আর কোন চুল হবে না তা নির্দিষ্ট থাকে। এটা কিছুটা বংশগত। কাজেই কোনও বিশেষ তেল চুলে মাখার পরে সব চুল উঠে গেল বলে অনেক সময় যা শোনা যায় তার ভিত্তি নেই।

এক নজরে

• একটি চুলের জীবনচক্রের তিনটি দশা। প্রথম তিন বছর হল অ্যানাজেন দশা। নতুন চুল বেড়ে ওঠার সময়। এর পরে ২-৪ সপ্তাহের একটা স্বল্পস্থায়ী পর্যায় হল ক্যাটাজেন। এর পরে ৩-৪ মাসের টেলোজেন দশা শেষ করে চুল পড়ে যায়। আবার নতুন চক্রের চুল এসে শূন্যস্থান পূরণ করে।

• বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যানাজেন দশার সময় কমে এবং দু’টি চক্রের মধ্যবর্তী সময় বাড়ে। তাই একজন প্রৌঢ় কখনও কিশোর বয়সের মতো চুলের ঘনত্ব আশা করতে পারেন না।

• ৩ থেকে ৮ বার পর্যন্ত মাথার বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫০-১০০টি চুল গোছা হিসেবে ধরে টানার পরে যদি ৩-৫ টির বেশি চুল উঠে না আসে তা হলে জানতে হবে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। অস্বাভাবিক চুল পড়াকে ডাক্তারি পরিভাষায় অ্যালোপেসিয়া বলে।

• অধিকাংশ সময় যে টাক পড়া নিয়ে চর্চা শোনা যায় তা আসলে অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া বা পুরুষসুলভ টাক পড়া। অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের দ্বারা চুল ওঠা প্রভাবিত হয়ে থাকে।

• বয়ঃসন্ধির পরে যখন অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে তখন কোনও কোনও পুরুষের ওই সব অঞ্চলের চুলের গোড়া ক্রমশ ছোট ও সংকুচিত হতে হতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে সেই লোমকূপগুলির আর কেশদণ্ড তৈরির ক্ষমতা
থাকে না।

• অ্যান্ড্রোজেন প্রভাবিত অ্যালোপেসিয়ায় চিকিৎসায় সাময়িক ফল মেলে। যত দিন ওষুধ চলে তত দিনই কেবল ওষুধের প্রভাবে গজানো চুল মাথায় থাকে। ওষুধ বন্ধ হলে চুল ঝরে যায়।

• দু’রকমের চুল প্রতিস্থাপন পদ্ধতি রয়েছে। ছোট ও অনু । ছোট প্রতিরোপণে ১.৫-২.৫ মিলিমিটার আকারের লোমকূপ-সহ ত্বক দাতা অঞ্চল থেকে তুলে গ্রাহক অঞ্চলে প্রতিরোপণ করা হয়। অনু প্রতিরোপণ বা মাইক্রোগ্রাফটিংয়ে সুবিধা বেশি। কারণ, যেখানে রোপণ করা হবে সেই অঞ্চলে বেশি কাটাকাটি করতে হয় না।

প্রশ্ন: টাক তৈরিতে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ভূমিকা কী?

উত্তর: মাথার উপরিভাগে কপালের দু’পাশে, মাথার পিছনের দিকের চুলের গোড়ায় অ্যান্ড্রোজেন সংবেদক (রিসেপটর) থাকে। বয়ঃসন্ধির পরে যখন অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে তখন কোনও কোনও পুরুষের ওই সব অঞ্চলের চুলের গোড়া ক্রমশ ছোট ও সংকুচিত হতে হতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে সেই লোমকূপগুলির আর কেশদণ্ড তৈরির ক্ষমতা থাকে না।

প্রশ্ন: এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?

উত্তর: অ্যান্ড্রোজেনের জন্য চুল ওঠার চিকিৎসা শুরু হয় আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে। দেখা যায়, রক্তচাপ কমানোর ওষুধ মিনোক্সিডিল খেলে গায়ের লোম ও চুল বেড়ে যাচ্ছে। মিনোক্সিডিলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণায় দেখা গেল, এই ওষুধ মাথায় টাক হয়ে যাওয়া জায়গায় লাগালে চুল গজাতেও সাহায্য করে, শরীরেও বিশেষ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তার পর থেকেই অ্যান্ড্রোজেন প্রভাবিত অ্যালোপেসিয়ায় ২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ মিনোক্সিডিল দিনে দু’বার লাগানোর পদ্ধতি চালু হয়। ৪ থেকে ৬ মাস লাগানোর পরে মোটামুটি এবং টানা এক বছর লাগানোর পর এর পুরো ফল পাওয়া যায়।

প্রশ্ন: কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না?

উত্তর: মিনোক্সিডিল দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে পুরুষদের মুখে লোমের আধিক্য দেখা যায়। অনেক সময় স্থানীয় ত্বকে চুলকানিও হয়। মিনোক্সিডিলের সঙ্গে ফেনেস্টেরাইল নামের ওষুধ খেলে পুরুষদের ক্ষেত্রে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। তবে খুব সামান্য কয়েকটি ক্ষেত্রে ওষুধটি খাওয়ার সময়ে কিছু যৌন সমস্যা দেখা যায়।

প্রশ্ন: মহিলাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা কী ভাবে হয়?

উত্তর: মহিলাদের অ্যান্ড্রোজেন প্রভাবিত অ্যালোপেসিয়ার ক্ষেত্রে মিনোক্সিডিল দু’শতাংশ লাগানো হয়। অনেক সময়ে অ্যান্ড্রোজেন ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। চুল ওঠার মাত্রা বিবেচনা করে চিকিৎসক নির্দেশ দিলে তবেই ওষুধ খাওয়া উচিত। অ্যান্ড্রোজেন প্রভাবিত অ্যালোপেসিয়ায় এই ধরনের চিকিৎসায় যে ফল মেলে তা সাময়িক। যত দিন ওষুধ চলে তত দিনই কেবল ওষুধের প্রভাবে গজানো চুল মাথায় থাকে। ওষুধ বন্ধ হলে চুল ঝরে যায়।

প্রশ্ন: আর কী ধরনের চিকিৎসা করানো যেতে পারে?

উত্তর: রোগীর পকেটের জোর থাকলে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট এর কথা ভাবা যেতে পারে। মাথার একদম পিছনের দিকের ত্বকের চুল অ্যান্ড্রোজেন দ্বারা প্রভাবিত হয় না। তাই ওই অঞ্চলের চুলের গোড়াশুদ্ধ ত্বক তুলে এনে টাক পড়া জায়গায় প্রতিস্থাপন করা যায় তা হলে নতুন জায়গায় ওই চুল বাড়তে থাকে, ঝরে পড়ে না।

প্রশ্ন: চুল প্রতিস্থাপন কী ভাবে করা হয়?

উত্তর: দু’রকমের চুল প্রতিস্থাপন পদ্ধতি রয়েছে। ছোট ও অনু । ছোট প্রতিরোপণে ১.৫-২.৫ মিলিমিটার আকারের লোমকূপ-সহ ত্বক দাতা অঞ্চল থেকে তুলে গ্রাহক অঞ্চলে প্রতিরোপণ করা হয়। অনু প্রতিরোপণ বা মাইক্রোগ্রাফটিংয়ে সুবিধা বেশি। কারণ, যেখানে রোপণ করা হবে সেই অঞ্চলে বেশি কাটাকাটি করতে হয় না। ছোট ছিদ্র দ্বারাই রোপণ করা হয়। দু’জন চিকিৎসক মিলে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অনু প্রতিরোপণ করে থাকেন। এক জন তোলেন। অন্য জন সঙ্গে সঙ্গে রোপণ করেন। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছেই অনু প্রতিরোপণ করতে হবে।

প্রশ্ন: খরচ কেমন?

উত্তর: প্রতিরোপণ পদ্ধতি ক্রমেই খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে খরচ এখনও সাধারণের নাগালের বাইরে। তবু সৌন্দর্যের খাতিরে অনেকেই সাধ্যের বাইরে গিয়ে খরচ করে চুল প্রতিরোপণ করছেন। তবে যাঁরা টাকে চুল প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেবেন, তাঁদের একটু ভেবে দেখে নেওয়া উচিত, ভবিষ্যতে জীবনের ঝুঁকি আছে এমন কোনও রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার খরচ জোটানোর পুঁজি তাঁর হাতে আছে তো! চুল প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে সব সম্বল শেষ হয়ে যাচ্ছে না তো!

প্রশ্ন: সব টাক কি তা হলে এক রকম? সবই কি অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া?

উত্তরর: তা নয়। এ ছাড়াও বহু কারণেই চুল ঝরতে পারে। কিছু কিছু স্থানীয় অসুখ অর্থাৎ একান্তই চুলের সমস্যা, যেমন অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা বা অ্যালোপেসিয়া টোটালিস। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে টাক পড়া বড়সড় রোগের লক্ষণ মাত্র। যেমন, থাইরয়েড রোগে চুল উঠতে উঠতে মাথা ফাঁকা হয়ে যায়। যে কোনও বড় রোগে যেমন জন্ডিস, ডেঙ্গি, টাইফয়েড প্রভৃতি রোগে আক্রান্তরা পুষ্টির সমস্যায় ভোগেন। ফলে চুল পর্যন্ত পুষ্টি না পৌঁছনোয় চুল পড়ে যায়। তা ছাড়া টাক পড়ে সিস্টেমেটিক লুপাস এরিথেমেটোসাস নামে এক মারাত্মক রোগেও। আবার কিছু ক্ষেত্রে স্থানিক টাক পড়া হল মানসিক রোগের প্রকাশ। যেমন, চুল ছেঁড়ার বাতিক বা ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া। পেটের রোগেও অনেক সময়ে টাক পড়ে থাকে। আবার অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের বা স্তন্যদায়িনী মায়েদেরও চুল উঠতে থাকে। কারণ তখন পুষ্টির ঘাটতি থাকে শরীরে।

প্রশ্ন: কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার?

উত্তর: অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভাল। তা হলে চুল ওঠার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। উপযুক্ত চিকিৎসাও হয়। ভবিষ্যতে মাথা ফাঁকা হয়ে যাওয়া থেকে নিষ্কৃতি মেলে।

সাক্ষাৎকার: অর্পিতা মজুমদার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Baldness Hair Loss Health Care Health Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE