খাওয়ার পরে স্নান করলে যতই আরাম লাগুক না কেন, আসলে শরীরের ক্ষতি হয়। ছবি: সংগৃহীত
বেশির ভাগ শিশুকেই শেখানো হয়, স্নান করে খাবার খেতে। শরীর সাফ করে খেতে বসলে, নিঃসন্দেহে আরাম লাগে। কিন্তু এটাই কি একমাত্র কারণ? মোটেই তা নয়। খাবার খাওয়ার পরে স্নান করলে শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী।
সাধারণত স্নান করার সময়ে শরীরের উষ্ণতা কয়েক ডিগ্রি বাড়ে। একে বলা হয় ‘হাইপারথারমিক অ্যাকশন’। এটি মূলত তিনটি কাজ করে। রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ঘর্মগ্রন্থিগুলিকে সক্রিয় করে তোলে, যার ফলে শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসে। আর স্নায়ুকে আরাম দেয়।
কিন্তু খাবার খাওয়ার পরে পেটের উত্তাপ কয়েক ডিগ্রি বাড়ে। খাবার হজম করতে অনেকটা রক্ত পেটের আশপাশে জমা হয়। এই অবস্থায় স্নান করলে শরীর সংশয়ের মধ্যে পড়ে যায়। খাবার হজম করার কাজে বেশি সক্রিয় হবে, নাকি ‘হাইপারথারমিক অ্যাকশন’-এ জোর দেবে— শরীর সেটা বুঝতে পারে না। তাই খাবার ভাল করে হজম হয় না। এর ফলে পেটব্যথা, হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে। সব মিলিয়ে বিপাকের হার বা ‘মেটাবলিক রেট’ কমে যায়। বিশেষ করে ভাত বা দুপুরের ভারী খাবার খাওয়ার পরে স্নান করলে বেশি মাত্রায় সমস্যা হয়।
তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। যাঁরা কনকনে ঠান্ডা জলে স্নান করেন, তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রে খাওয়ার পরে ঠান্ডা জলে স্নান করলে বিপাকের হার বাড়ে। ফলে যাঁরা অতিরিক্ত ঠান্ডা জলে স্নান করেন, তাঁদের মেদ জমার হারও কমে। তেমনই বলছে গবেষণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy