নিয়ন্ত্রিত জীবন সামলে দিতে পারে স্ট্রোকের সম্ভাবনা। ছবি: শাটারস্টক।
এই তুমুল বৃষ্টি তো এই কড়া রোদ। এমন খামখেয়ালি আবহাওয়ার দরুন এখন বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ। সঙ্গে বর্ষার স্বাভাবিক ভয় ডেঙ্গি, কনজাঙ্কটিভাইটিস তো আছেই। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, শুধু বর্ষার স্বাভাবিক ক’টা অসুখই নয়, বরং পরিবর্তিত আবহাওয়া ও বর্তমান জীবনশৈলীতে অভ্যস্ত মানুষ শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা ব্যতিরেকেই শিকার হচ্ছেন স্ট্রোকের। যার জন্য খেয়ালি আবহাওয়া অনেকটাই দায়ী।
তবে আবহাওয়ার সঙ্গে অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার দিকেও আঙুল তুলছেন চিকিৎসকরা।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, স্ট্রোক ঠেকাতে ওষুধের চেয়েও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন বেশি জরুরি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, ঘরোয়া কিছু নিয়ম মেনে চললে স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমিয়ে আনা যায় অনেকটাই।
আরও পড়ুন: সাবধানে ট্যাটু করাচ্ছেন তো? না হলে শরীরে আসতে পারে রোগ
কোন কোন বিষয় খাদ্যের জৈব পুষ্টিগুণকে প্রভাবিত করে?
রোজ হেঁটেই কাবু করুন স্ট্রোককে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
কী সে সব?
ওজন প্রধান সমস্যা। স্ট্রোক ঠেকাতে ওজন, বিশেষত ভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। অনেকে ছিপছিপে চেহারার হলেও একটা বয়সের পরেই তাদের ভুঁড়ি এসে যায়। সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে। জিম, শারীরিক কসরত এবং সুষম আহারের উপর জোর দিন আজ থেকেই। তেল-মশলাদার খাবার এড়ান। যাঁদের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব, ভারী শরীর, তাঁদের জন্য ১৪০–৯০ প্রেশার স্বাভাবিক। এর থেকে খুব বেশি হেরফের হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া ডায়াবিটিস, রক্তচাপ, ওবেসিটির সমস্যা থাকলে নিয়ম মেনে ওষুধ খান। জল খান মেপে। খুব বেশি জল যেমন ক্ষতিকারক, তেমন খুব কম জলও কাজের কথা নয়। শারীরিক গঠন ও রোগের উপর নির্ভর করবে কতটা জল খাবেন। হিসাব বুঝতে না পারলে চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করুন। হাঁটাহাঁটি করুন। লক্ষ্য রাখুন, দিনে আধ ঘণ্টা যেন হাঁটার জন্য থাকে। আর তা অবশ্যই ঘাম ঝরানো হাঁটা। ধীর পায়ে নয়। অ্যালকোহল বা ধূমপান একেবারেই চলবে না। মনে রাখবেন, কম পরিমাণে মদ বা সিগারেটও ভারতীয় আবহাওয়ায় শরীরে ক্ষতি করে। সুতরাং, দূরে থাকুন সে সবের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy