তেঁতুলের ভেষজ গুণ প্রতিরোধ করে অনেক রোগ। ছবি: শাটারস্টক।
চাটনি, ফুচকাকে মুখরোচক করতে বা গৃহস্থালীর নানা কাজে তেঁতুলের ব্যবহারের কথা তো সকলেই জানেন। কিন্তু তেঁতুলের যে স্বাস্থ্যকর আরও কিছু দিক রয়েছে, তা জানেন কি? আসলে গৃহস্থ বাড়িতে তেঁতুলের ব্যবহার মানেই হয় তা কোনও ঘরোয়া কাজে, নয়তো খাদ্যে স্বাদ বাড়ানোর উপাদান হিসাবে। কিন্তু এর স্বাস্থ্যকর নানা দিকের কথা জানলে প্রতি দিনের ডায়েটে রাখতেই পারেন তেঁতুল।
‘‘তেঁতুলের ভেষজ গুণ ও পুষ্টিমাত্রা এমনিতেই জ্বর, প্রদাহ বাত ইত্যাদি রোগ কমাতে সাহায্য করে’’, জানালেন পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহ। তেঁতুলের উপকারী দিকের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসকরাও নানা অসুখের পথ্য হিসাবে এটি খেতে দেন।
তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া উচিত, নচেত হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ছাড়া যাঁরা তেঁতুলের টারটারিক অ্যাসিড সহ্য করতে পারেন না, তাঁরা এড়িয়ে চলুন এই ফল। তবে তেমন কোনও সমস্যা না থাকলে প্রতি দিনের ডায়েটে রাখুন তেঁতুল। জানেন কেন?
আরও পড়ুন: একশো বছর পেরিয়ে গেলেও ব্লেডের নকশা কেন বদলায়নি জানেন?
তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান পরোক্ষ উপায়ে শরীরের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তেঁতুলে উপস্থিত উৎসেচক শর্করার শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিয়ে শর্করা নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। ফলে ডায়াবিটিসকে অনেকটাই প্রতিরোধ করে তেঁতুল। তেঁতুলে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া তেঁতুলে বিপুল পরিমাণে বিলিয়াস সাবস্ট্যান্স থাকায় তা হজমপ্রক্রিয়াকে ঠিক মাত্রায় রাখে। ফলে পরিমাণ বুঝে তেঁতুল খেলে তা পেটের অসুখ কমাতে সাহায্য করে। তেঁতুল গাছের পাতা এবং ছালে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান থাকে, ফলে ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: কোথায় থাকেন তার উপর নির্ভর করবে হার্টের রোগ হতে পারে কি না!
একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, তেঁতুলে থাকা নানা ভিটামিন এবং খনিজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে উপস্থিত মন্দ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই হৃদরোগের সমস্যা প্রতিরোধে তেঁতুল কার্যকর। তেঁতুল শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, ফলে ক্ষিদে কমে যায়। ফলত ওজন হ্রাসে এটি অত্যন্ত উপকারী।
(গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy