সারা দিন মোবাইলে খুটখুট শিশুর চোখের সমস্যা বাড়াচ্ছে রোজ। ছবি: শাটারস্টক।
শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ চোখ। ছেলেবেলা থেকেই এর যত্ন নেওয়া আবশ্যিক। অথচ, সারা বছর পড়াশোনার চাপ, মোবাইল বা টিভির স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা অথবা সৃজনশীল কোনও কাজে যুক্ত থাকা— শিশুদের চোখের উপর চাপ পড়ার এমন নানা রসদ রয়েছে আমাদের চারপাশে।
শিশুচক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রাপ্তি ঘোষের মতে, ‘‘খুব কম বয়সেই বেশি পাওয়ারের চশমা দেখা যায় অনেক শিশুর চোখেই। সাধারণত কঠিন কোনও অসুখ না থাকলে স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা দেখতে অসুবিধা দিয়েই বেশির ভাগ শিশুর চোখের সমস্যা সামনে আসে। অভিভাবকরা একটু সতর্ক হলেই কিন্তু এই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যায়।’’
জানেন কি, আপনার একটু সচেতনতা, যত্ন আপনার সন্তানের চোখকে সুস্থ রাখতে পারে কী উপায়ে? কিছু ঘরোয়া উপায় ও কিছুটা চিকিৎসকের উপর আস্থাই কিন্তু আপনার শিশুর চোখকে রাখতে পারে সুরক্ষিত। দেখে নিন সে সব কী কী।
আরও পড়ুন: সন্তান ভাল হোক চান? তা হলে এই সব করতেই হবে
সারা দিন কাজের পর ক্লান্ত? এই ভাবে তরতাজা হোন নিমেষে
চিকিৎসকদের পরামর্শ, টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল বা ভিডিও গেমের স্ক্রিনে বেশি ক্ষণ তাকিয়ে থাকতে দেবেন না শিশুকে। এ সবের স্ক্রিন থেকে বেরনো রশ্মি চোখের উপর চাপ ফেলে। তার চেয়ে তাকে অভ্যস্ত করুন বই পড়ায়। এতে চোখ ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচে, সেই সঙ্গে মোবাইল গেমে আসক্তি কমাতে পারলে তাকে অন্যান্য অসুখ থেকেও দূরে রাখে। যে সময় ঘরে টিভি চালাচ্ছেন, সেই সময় ঘরের আলো আর টিভি স্ক্রিন থেকে বেরনো আলো মিলেমিশে কি খুব কড়া আলো তৈরি করছে? তা হলে টিভির মেকানিককে বলুন স্ক্রিনের আলোকে ঘরের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে নিয়ন্ত্রণ করতে। সূর্যের চড়া আলো চোখের জন্য ক্ষতিকারক। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি চোখের অনেক ক্ষতি করে। এ থেকে চোখের কর্নিয়ার নানা অসুখ, ক্যাটারাক্ট বা ছানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খুব রোদে শিশুকে নিয়ে বেরলে টুপি বা ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন। যে সব শিশু খুব ছোটবেলা থেকেই চশমা পরে, অনেক সময় তাদের অভিভাবকরাই পড়াশোনার সময় ব্যতীত তাদের চশমা খুলে থাকতে উৎসাহ দেন। এটা ঠিক নয়। চেষ্টা করুন যতটা বেশি সময় সম্ভব, চশমা পরিয়ে রাখতে। এতে অনেক সময়ই বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের ক্ষমতা বাড়ে। চশমার প্রয়োজন ফুরোয়। কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে চশমা খুললে চোখের পক্ষেও ওই নির্দিষ্ট দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না। প্রতি বছর অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। চোখ পরীক্ষা পুরো শরীর পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ। চোখ ভাল রাখতে চিকিৎসকরা বেশ কিছু ব্যায়ামেরও পরামর্শ দেন। সে সবে অবশ্যই নজর রাখুন। ছোট মাছ, গুগলি, সবুজ সব্জির মতো বিশেষ কিছু খাবার চোখ ভাল রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। বিটা ক্যারোটিন আছে এমন খাবার— বিট-গাজর, রাঙা আলু ইত্যাদি শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy