ডায়েট সাজান বুঝে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
ছিপছিপে সুন্দর চেহারা কে না চায়! সৌন্দর্যের চেয়েও দামি আসলে ফিটনেস। যত মেদ ঝরিয়ে ছিপছিপে হতে পারবেন, তত জীবনীশক্তি বাড়বে। রোগ থেকে দূরেও থাকতে পারবেন অনেক। এই ছিপছপে চেহারার লোভে মানুষ কী না করে! জিম, শরীরচর্চার পাশাপাশি ঠিক ডায়েট মেনে চলা— সবই। কিন্তু তাতেও কি কমছে না ওজন? এমন হলে বেশির ভাগ সময়েই দেখা যায় ডায়েট মানতে গিয়েই হচ্ছে বিপত্তি।
অনেকেই আত্মীয়, বন্ধু, সহকর্মী— সকলের থেকে ডায়েট প্ল্যান শুনে এসে সেগুলো অনুসরণ করতে শুরু করেন। এমনটা করলে কিন্তু সাবধান। সকলের ক্ষেত্রে ডায়েট প্ল্যান কিন্তু এক রকম হয় না। তাই ডায়েট বাছার আগে সচেতন হোন। এমন বিকল্প বাছুন, যাতে আপনি ব্যর্থ তো হবেনই না, উল্টে কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন নিমেষই।
ডায়েটে ব্যর্থ হওয়ার কারণ না জানলে কিন্তু তা সফল হওয়ার পদ্ধতিও অজানাই থাকবে। তাই আগে দেখে নিন, কী কী কারণে ব্যর্থ হয় ডায়েট।
আরও পড়ুন: এই নিয়মগুলো মানুন, স্ট্রোক হবে না
ডায়েট মানলে ওজনও মাপান নিয়মিত। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
ডায়েট কেন ব্যর্থ হয়?
এর জন্য সবচেয়ে বড় দায় আমাদেরই। দিন-রাত ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস নষ্ট করে দেয় ডায়েটের যাবতীয় পরিকল্পনা। নতুন করে কোনও খাদ্যাভ্যাস তৈরি করলে দিন কয়েক তা মানার পড়েই হাঁফিয়ে উঠি। বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, ডায়েটের বাইরের প্রিয় কোনও খাবার সামনে এসে পড়লেই আমাদের পুরনো লোভ মাথাচাড়া দেয়। কোনও নিমন্ত্রণবাড়ি বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা— তাতে সামান্য নিয়মের এ দিক ও দিক হলেই আমাদের জিভ পেতে চায় সেই পুরনো স্বাদ। তাতেই বানচাল হয় নতুন ডায়েট প্ল্যান। তাই ডায়েট মানতে মনে রাখতে হবে কিছু টিপস। এক ঝলকে দেখে নিন সে সব কী কী।
প্রথমেই খুঁটিয়ে ভাবুন আগের বার কেন ব্যর্থ হয়েছিল ডায়েট। এ বার সে সব এড়িয়ে চলুন কঠোর ভাবে। আপনার ডায়েট যদি খুব কড়া হয়, তবে এ বার এমন ডায়েট বাছুন যা শরীরের সঙ্গে মনকেও কিছুটা আরামে রাখবে। সব রকম ফ্যাট ও কাবর্স না বাদ দিয়ে বরং সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। মনে রাখবেন, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট দুই-ই আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ গুলো পুরো বাদ দেওয়া উচিত নয়। বারবার খিদেই যদি নষ্ট করে ডায়েট প্ল্যান, তবে ডায়েটে রাখুন বারবার খাওয়ার লো-ক্যালোরির খাবার। যেমন ফল, বা সবজির স্ট্যু। নিজে নিজেই ডায়েট প্ল্যান না করে পরামর্শ নিন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের। তিনিই শারীরিক অবস্থা বুঝে আপনাকে সঠিক ডায়েটে বেঁধে দেবেন। কোনও খাবারে বিশেষ আসক্তি থাকলে, সেটাও জানান তাঁকে। উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবিটিস বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলে জানান তা-ও। সব দিক খতিয়ে দেখে তিনিই দেবেন উপযুক্ত ডায়েট। দরকারে দিন কয়েক কিছু প্রিয় খাবার খাওয়ার অনুমতিও মেলে সুষম ডায়েটে। মোট কত পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করেন রোজ? তার হিসেব রাখেন? না রাখলে রাখতে শুরু করুন। দরকারে এই হিসেব গোনার কিছু অ্যাপ আছে, সে সব ডাউনলোড করে নিন। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হবে আপনি সারা দিনে মোট কত পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করবেন।
এমন ডায়েট বেছে নিন, যা খেলে আপনি সারা দিনের কাজের জন্য উপযুক্ত শক্তি পাবেন। সতেজ না রাখলে সে ডায়েট কিন্তু কোনও কাজে আসবে না।
আরও পড়ুন: বিখ্যাত মানুষদের এই সব অদ্ভুত অভ্যাসের কথা জানলে অবাক হবেন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy