বর্ষার সুস্থ থাকতে নিজে সচেতন হোন। ছবি: শাটারস্টক।
সারা দিন বৃষ্টি, জমা জল, কাদার পরেও বর্ষাকালে ভোগান্তির অন্যতম কারণ নানা অসুখ-বিসুখ। ঠান্ডা লেগে জ্বর ছাড়াও এই সময় পেটের নানা সমস্যা, হজমের গোলমাল দেখা যায়। ঠিক সময়ে সতর্ক না হলে ও প্রয়োজনীয় সচেতনতা অবলম্বন না করলে সাধারণ হজমের গোলমাল থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডায়ারিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ার উপর নজর তো দিতেই হয়, তা ছাড়াও কিছু ব্যবহারিক নিয়ম মেনে চলতেই হয়, তা হলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। সাধারণত এই ধরনের অসুখ ব্যাকটিরিয়া ঘটিত। ই-কোলাই, এরোমোনাস, ইয়ারসিনিয়া ইত্যাদি অপকারী ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রমণে এই ধরনের অসুখ হয়।
তাই জলবাহিত এই অসুখ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মেনে চলতেই হয় বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। সে সব জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী।
আরও পড়ুন: হঠাৎ কেটে গিয়েছে? কী করবেন জানেন?
বেড়াতে যাচ্ছেন? এ গুলো নিতে ভুলবেন না
কী কী করণীয়
বর্ষাকালে চেষ্টা করুন জল ফুটিয়ে খেতে। জলবাহিত অসুখ থেকে দূরে থাকতে এটি সবচেয়ে কার্যকর। কম সিদ্ধ মাংস এড়িয়ে চলুন। ভাপিয়ে খাওয়ার মেনু— যেমন মাছের নানা ভাপানো পদ এ সময় না খাওয়াই ভাল বলে মত চিকিৎসকের। বর্ষাকালে এমনিতেই কিছু মাছের গায়ে এক ধরনের ঘা হয়। মাছ কেনার সময় তাই সতর্ক থাকুন। সরাসরি কাঁচা মাছ দিয়ে যা যা রান্না হয়, তা এড়িয়ে অল্প তেলে মাছ নাড়াচাড়া করে তবেই রান্না করুন। ব্যাগে স্যানিটারি সোপ রাখুন। রাস্তাঘাটে কখনও শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। সুলভ শৌচাগার থেকেও প্রচুর ক্ষতিকারক ব্যাক্টিরিয়া শরীরে বাসা বাঁধে। নিজেকে পরিষ্কার রাখা অসুখ থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়। বর্ষাকালে চেষ্টা করুন ফলের খোসা ছাড়িয়ে খেতে। বায়ুবাহিত নানা ভাইরাস ও ব্যাক্টিরিয়ার প্রকোপও এ সময় বাড়ে। ফলের বাইরের ত্বকেও বাসা বাঁধে সে সব। যত বার খাবেন কিছু, তা সে শুকনো খাবার হলেও তত বারই উঠে গিয়ে হাত ধুয়ে নিন। বাইরের রোগ-জীবাণুর সিংহ ভাগ হাত থেকে ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। কম মশলাদার, হালকা রান্না খাওয়া যে কোনও ঋতুতেই উপকারী। বর্ষাতেও সেই অভ্যাস বজায় রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy