Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
coronavirus

মাস্ক প্রয়োজনীয় নয়, বরং এর থেকে বাড়়ছে বিপদ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

মাস্কে আদৌ কি কোনও কাজ হয়? ছবি: আইস্টক।

মাস্কে আদৌ কি কোনও কাজ হয়? ছবি: আইস্টক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২০ ১২:৪০
Share: Save:

ভারতে করোনা-শঙ্কা তৃতীয় সপ্তাহে পড়তে না পড়তেই হঠাৎই মাস্ক ব্যবহারের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কলকাতার ছবিও আলাদা নয়। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এক জনের মৃত্যুর ঘটনায় এই শঙ্কা আরও জাঁকিয়ে বসেছে। আর এতেই মাস্ক ব্যবহারের ঝোঁক বেড়েছে।

কী কী ব্যবহার করছে আমজনতা?

রাস্তাঘাটে বেরলে বেশির ভাগ মানুষের মুখে যে সব মাস্ক দেখা যাচ্ছে, তার তালিকায় রয়েছে—

• এন৯৫ মাস্ক।

• তিন স্তর বিশিষ্ট ডিসপোজাল সার্জিক্যাল মাস্ক।

• গেঞ্জি কাপড় ও স্পঞ্জের মাস্ক।

• কাপড়ের তৈরি মাস্ক।

• ওড়না বা রুমাল বেঁধে মাস্কের মতো ব্যবহার।

লাভ হচ্ছে কি?

সোজা কথায় বললে, কোনও কাজের কাজ হবে না এতে। জানাচ্ছেন, মেডিসিন ও সংক্রামক অসুখের বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী। তাঁর সঙ্গে সহমত বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিত সেনগুপ্তও। ভায়ারোলজিস্ট সুশ্রুত বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত। তাঁদের মতে, এই ধরনের ভাইরাস কখনওই মাস্ক দিয়ে ঠেকানোর নয়।

আরও পড়ুন: করোনা-আতঙ্ক: ট্যাক্সি বা অ্যাপক্যাবেও কি ভয় আছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

তা হলে কি কেউ মাস্ক পরবেন না?

কারা কারা পরবেন, আর কারা পরবেন না, সে বিষয়ে স্পষ্ট জানালেন মেডিসিন ও সংক্রামক অসুখের বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী।

• এন৯৫ মাস্ক একমাত্র তখনই প্রয়োজন, যদি কেউ সরাসরি রোগীর কাছে থাকেন বা তাঁকে নাড়াঘাঁটা করেন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তা ব্যবহার করবেন, যাঁরা রোগীর এক মিটারেরও কম দূরত্বে দীর্ঘ ক্ষণ থাকবেন।

• সার্জিক্যাল বা অন্য ধরনের মাস্ক এ ক্ষেত্রে কোনও কাজে দেয় না। তবে যাঁদের সর্দি-কাশি হচ্ছে, তাঁরা এই সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন। সেটা নিজের জন্য নয়, অন্যের শরীরে রোগ না ছড়ানোর সচেতনতা থেকে।

• অন্য কোনও ধরনের মাস্ক আর কোনও কাজে আসে না।

বার বার মাস্কে হাত দিলে তা আরও ক্ষতি ডেকে আনে।

ডাস্ট অ্যালার্জি থাকলেও মাস্ক পরে লাভ নেই?

ধুলো থেকে বাঁচতে এই সব সাধারণ মাস্ক কোনও কাজে আসে না। এই সব মাস্ক ধুলোর ক্ষুদ্র কণাকে আটকাতে পারে না। আর ধুলোর সঙ্গে করোনার কোনও যোগ নেই। এটা বায়ুবাহিত রোগের তালিকাতেও পড়ে না। কেউ ধুলো এড়াতে মাস্ক পরতে চাইলে তাঁরা সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন।

আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ দূর পর্যন্ত হাওয়ায় ছড়ায়! ‘হু’ এমন দাবি করেনি, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

মাস্কে রিস্ক ফ্যাক্টর কী কী?

• এন৯৫ মাস্কের মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ ভাইরাস মরে। কিন্তু এই মাস্ক সব সময় পরে থাকা যায় না। একটানা ১০ মিনিট পরে থাকলেও নানা সমস্যা হয়। নাক-কানে চাপ পড়ে। কানে ব্যথা হয়। একটা সময়ের পর দমবন্ধ লাগে। তাই এই মাস্ক পরলে বার বার তা নামিয়ে রাখতে বাধ্য হন মানুষ। কখনও কখনও নাকে-মুখে হাত দিয়ে তা ঠিক করতে হয়। এতেই ক্ষতি বাড়ে।

• আর কোনও ধরনের মাস্ক এ ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে লাগে না। তা ছাড়া যে কোনও মাস্কই গরম লাগার পর খুলে ফেলছেন অনেকে। এতেও হাত লাগছে মাস্কে।

• মাস্ক পরার পর মাঝেমধ্যেই তা ঠিক করতে তাতে হাত দিচ্ছেন সবাই। এতে হাতের জীবাণু মাস্কে যাচ্ছে। মাস্কের উপরিভাগের জীবাণু মিশছে হাতে। ফলে কাজের কাজ তো হচ্ছেই না, উল্টে ক্ষতি বাড়ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE