Advertisement
০৮ অক্টোবর ২০২৪
Kalipuja

ভূত চতুর্দশীতে কেন চোদ্দ শাক খাওয়া হয়

কালীপূজা বা শ্যামা পূজার ঠিক আগের দিনকে বলা হয় ভূত চতুর্দশী। এ দিনে নাকি মা কালীর চ্যালা-চামুন্ডারা ধরাধামে অন্ধকারের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়।

বৃহত্তর অর্থে শাক বলতে পাতা, ফুল, ফল, নাল, কন্দ, ছত্রাক সবই বোঝায়।

বৃহত্তর অর্থে শাক বলতে পাতা, ফুল, ফল, নাল, কন্দ, ছত্রাক সবই বোঝায়।

পার্থপ্রতিম আচার্য
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৭ ১৩:০৬
Share: Save:

কালীপূজা বা শ্যামা পূজার ঠিক আগের দিনকে বলা হয় ভূত চতুর্দশী। এ দিনে নাকি মা কালীর চ্যালা-চামুন্ডারা ধরাধামে অন্ধকারের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। কথিত, ধরাধামের যে বাড়িতে চোদ্দ শাক খাওয়া হয় না বা চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানো হয় না, মা কালীর চ্যালা-চামুন্ডারা তাদের অনিষ্ট করেন। তাই এই চতুর্দশীর নাম ভূত চতুর্দশী। তিথি নক্ষত্রের হেরফেরে অবশ্য কোনও কোনও বছর কালীপূজার দিনটিতেই চতুর্দশী পড়ে। দুপুরে চোদ্দ শাক খাওয়া আর সন্ধ্যা বেলায় চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানো এবং দরজায় চোদ্দ ফোঁটা দেওয়ার রেওয়াজ বাঙালীর বহু দিনের। আধুনিক যুগে এই চোদ্দ শাক খাওয়াকে অনেকে কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দিলেও এই প্রথা চালু হওয়ার পেছনে রয়েছে, শারীরবৃত্তীয় ব্যাপারও।

শাক কী!

শাক শব্দটি কেবলমাত্র কোনও গাছের বা লতার পাতাকে বোঝায় না। বৃহত্তর অর্থে শাক বলতে পাতা, ফুল, ফল, নাল, কন্দ, ছত্রাক সবই বোঝায়। তাই ওলের মত কন্দ ভাতে খেলেও শাকই খাওয়া হবে। একই ভাবে কাঁচকলা সিদ্ধ, পটল সিদ্ধ, বকফুল ভাজা, মানকচু সিদ্ধ, লাউ-কুমড়ো ডাঁটা খেলেও শাক খাওয়ারই নামান্তর।

শাক কে মোটামুটি ৬টি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যেমন—

১। পত্র শাক: পালং, নটে, পুঁইশাক, বাঁধাকপি প্রভৃতি।

২। পুষ্প শাক: ফুলকপি, মোচা, বকফুল ইত্যাদি।

৩। ফল শাক: লাউ, কুমড়ো, বেগুন, পেঁপে, ঢেঁড়স প্রভৃতি।

চোদ্দ শাক: পুরাণ মতে, ভূত চতুর্দশীতে চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি প্রচলন করেন ঋক্ বেদের বাস্কল বা শাক দ্বীপি ব্রাহ্মণ’রা। যদিও এ আচার পূর্ব ভারতে এবং বাংলা দেশেই সমধিক প্রচলিত।

অন্য বিষয়গুলি:

Kalipuja Diwali Indian Festival
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE