দেওয়ালির বাজি বাতাসে দূষণের পরিমাণ বাড়ায় মাত্রাতিরিক্ত। ছবি: শাটারস্টক।
কালীপুজোর রাত এবং দেওয়ালি, বাতাসে দূষণের মাত্রা একলাফে বাড়িয়ে দিতে এই দু’দিনের জুড়ি নেই। বাজির বারুদপোড়া ধোঁয়া বাতাসে মিশে প্রতি বছরই দূষণের পরিমাণ হু হু করে বাড়িয়ে দেয়।এর প্রভাবে শ্বাসজনিত সমস্যা, ফুসফুসের অসুখ তো হয়ই, এ ছাড়াও চোখে ওই ধোঁয়া লেগে রাসায়নিকের প্রভাবে কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থদের ক্ষেত্রে এই সব সমস্যা আরও বেশি করে দেখা দেয়। আইন করে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে নিস্তারও নেই, তবে কিছু ঘরোয়া পানীয়ের কথা জানলে সহজেই এই দূষণকে প্রতিরোধ করতে পারবেন।
এমনিতেই যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া, নানা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার, আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন— সব কিছুর প্রভাবে বাতাসে দূষণের মাত্রা চড়চড়িয়ে বাড়ে। তাই কেবল কালীপুজোর সময়েই নয়, চারপাশের দূষণের সঙ্গে লড়তে সারা বছরই খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এই তিন পানীয়।
দূষণের প্রভাবে শরীরে প্রবেশ করা ক্ষতিকর টক্সিনকে সরিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে এরা অত্যন্ত কার্যকর। এর উপাদানও সহজলভ্য এবং বানানোর পদ্ধতিও খুব একটা সময়সাধ্য নয়। জেনে নিন দূষণ প্রতিরোধে সেরা তিনটি পানীয়ের হদিশ।
আরও পড়ুন: বয়স ৩০ পেরিয়েছে? এই স্বভাবগুলোর জন্যই রোগ বাড়ছে না তো?
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে কয়েকটা তুলসীপাতা, কিছুটা পিষে নেওয়া আদা ও দু’চামচ আখের গুড় মেশান। এ বার মিনিট পাঁচেক ধরে ফোটান এই মিশ্রণ। দু’বেলা খালি পেটে গরম গরম খান এই পানীয়। গুড় ও আদার মধ্যে প্রাকৃতিক উপায়েই দূষণ প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকে। এর সঙ্গে তুলসীপাতার জীবাণুনাশক উপাদান যোগ হয়ে তাকে আরও কার্যকরী করে তোলে। দূষণের প্রভাবে শ্বাসজনিত সমস্যা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই ডায়েটে রাখুন আর একটি পানীয়। একটি পাত্রে কয়েকটা তুলসীপাতা, গোটা একটি পাতিলেবুর রস, এক চামচ মধু ও এক চিমটে নুন ফেলে তাকে ফুটিয়ে নিন। এ বার খালি পেটে গরম গরম খান এই পানীয়। চিকিৎসকদের মতে,এই সব ক’টি উপাদানের মধ্যেই অ্যান্টিটক্সিন থাকায় শরীরে প্রবেশ করা দূষণের সঙ্গে লড়ে তা শ্বাসজনিত বাধাকে শিথিল করে। ব্রঙ্কাইটিসের রোগীকেও এই পথ্য দেওয়া যেতে পারে বলে জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী।
আরও পড়ুন: ধূমপান ছাড়া এ সব কারণেও ফুসফুসে দানা বাঁধতে পারে ক্যানসার!
বাড়ির শিশুদের ক্ষেত্রে দূষণজনিত সমস্যা থাকলে দুধের মধ্যে কিছুটা হলুদ, একটু পিষে নেওয়া আদার রস, দু’-একটি কালো এলাচ, একটু ঘি, কয়েকটা লবঙ্গ ও তুলসী পাতা ফেলে তা ফুটিয়ে নিন। এ বার এই পানীয় মাঝে মাঝেই খাওয়ান শিশুদের। তবে প্রতি বারই খাওয়ানোর আগে ফুটিয়ে নিতে ভুলবেন না। আদা ও তুলসী পাতা যেমন জীবাণু নাশ করবে, তেমনই দুধের সঙ্গে হলুদ যোগ হয়ে শরীরে প্রবেশ করা রাসায়নিক কণার সঙ্গে লড়বে। আবার ঘি, এলাচ ও লবঙ্গ শ্বাসনালীর পথকে পরিষ্কার করে শিশুর শ্বাস নেওয়ার কাজ অনেক সহজ করে দেবে।
(ছবি: শাটারস্টক)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy