ভাইরাল ভয় সরাতে খাদ্যতালিকায় বদল আনুন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
বর্ষা মানে কিন্তু কেবল বৃষ্টির রোমান্স আর গরম সরিয়ে প্রকৃতির ঠান্ডা হয়ে ওঠাই নয়। বরং এই ঋতুর হাত ধরে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশির সমস্যা, হজমজনিত অসুখ ইত্যাদিও হানা দেয়। তবে এই সময় সব চেয়ে বেশি কাবু করে ফেলে যা, তা হল ভাইরাল ফিভার। ভাইরাল ফিভার সারতে চায় না সহজে। তার উপর বর্ষার জলীয় আবহাওয়ায় এই অসুখের সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
জ্বর সারলেও দুর্বলতা থেকে যায় বেশ কিছু দিন। তাই ভাইরাল ফিভার এড়ানোর উপায় জেনে রাখা খুব জরুরি। আমাদের খাদ্যাভ্যাসে খানিক নজর দিলেই এই অসুখের হঠাৎ আক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায়।
দেখে নিন, কী কী খাবার প্রতি দিনের মেনুতে রাখলে সহজেই এড়াতে পারবেন জ্বর। শুধু জ্বর কেন, এই সব খাবারের গুণে বর্ষায় হানা দেওয়া অনেক অসুখকেই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিচ্ছেন রোজ? কী মারাত্মক অসুখ হতে পারে জানেন?
এ সব উপায়ে এসি-র খরচ কমিয়ে পকেটকে দিন দেদার স্বস্তি
রসুন: কথায় বলে, প্রতি দিন এক কোয়া রসুন মানেই সব অসুখ থেকে দূর। সব অসুখ সারানোর ক্ষমতা থাক বা না থাক, ভাইরাল ফিভার থেকে বাঁচতে রসুন অত্যন্ত উপকারী। অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল গুণে ভরপুর রসুন ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমায়। যাঁরা রসুন খান না, তাঁরা গরম জলে রসুনের কোয়া ফুটিয়ে সেই জলে ভেপার নিন। শ্বাসনালীর জটিলতা সারাতে ও ভিতরের শ্লেষ্মা বার করে আনতে এটি খুবই কার্যকর।
আমলকি: এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এ ছাড়া ক্যালশিয়াম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকির ভূমিকা অনেক। তাই বর্ষার ভাইরাল ফিভার থেকে বাঁচতে আমলকি খান রোজ।
আদা: শরীরকে টক্সিনমুক্ত করে আদা। বর্ষায় চা খেলে আদা দেওয়া চা-ই খান। এই সময় রান্নাতেও লঙ্কা কম ব্যবহার করে আদার ব্যবহার বাড়ান। আদার ঝাঁজ শরীরে যত পোঁছবে, তত জীবাণুমুক্ত হবে শরীর।
টক দই: ভাইরাল ফিভারে প্রচুর অ্যান্টি বায়োটিক খেতে হয়। এই জ্বরে শরীর দুর্বল হয় সহজেই। তাই প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ টক দই এই সময় খুব প্রয়োজনীয় খাদ্য। শরীরের টক্সিন দূর করতে ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে এই খাবার কার্যকর।
আমন্ড: ফ্যাট কমাতে খুব ফলদায়ক আমন্ড। এর ভিটামিন ই, ভিটামিন বি-২ রাইবোফ্ল্যাবিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস প্রভৃতি উপাদান শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়। প্রতি দিন তিন-চারটি আমন্ড রাখুন ডায়েটে। সহজে জ্বর হবে না।
জল: যে কোনও বদহজমের সমস্যা কাটাতে ও শরীরকে সুস্থ রাখতে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল খান। জল শরীরকে জীবাণুমুক্ত করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy