Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Child Nutrition

ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস কী? কেনই বা সেগুলি গুরুত্বপূর্ণ

কোনও যন্ত্রকে ঠিক রাখতে যেমন জ্বালানীর প্রয়োজন হয়, তেমনই শরীরকে সঠিকভাবে চালানোর জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যের। বেঁচে থাকার জন্য এবং শরীরকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নমামী আগরওয়াল
শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৮ ১২:০৩
Share: Save:

আমাদের শরীর যন্ত্রের মতো কাজ করে। এটি অত্যন্ত জটিল। কোনও যন্ত্রকে ঠিক রাখতে যেমন জ্বালানীর প্রয়োজন হয়, তেমনই শরীরকে সঠিকভাবে চালানোর জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যের। বেঁচে থাকার জন্য এবং শরীরকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির। আর এই পুষ্টির চাহিদা বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে আলাদা হয়।

কোনও খাদ্য থেকে যে পুষ্টিগুণ আমরা পাই, তা প্রাথমিকভাবে দু'ই ভাগে বিভক্ত। একটি হলো ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যার মধ্যে থাকে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং প্রোটিন। অন্যটি হলো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, যা থেকে ভিটামিন এবং মিনারেল শোষণ করে শরীর।

চলুন একটু ভাল ভাবে জেনে নি এই দুই পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টস -

শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে এই পুষ্টিগুণের প্রয়োজন হয়। এগুলি ক্যালোরির আকারে আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়। যা বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য।

আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে, রোগ প্রতিরোধ করতে এবং নতুন টিস্যু তৈরি করতে এই পুষ্টিগুণ নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে।

কার্বোহাইড্রেট হল আমাদের শরীরে শক্তির প্রাথমিক উৎস[1]। এই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টটিকে সহজ এবং জটিল রূপে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। তবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে শরীর কেমন ভাবে খাদ্য বা গ্লুকোজকে ভাঙ্গছে সেই ক্ষমতার উপরে।

শক্তি প্রদান ছাড়াও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা আমাদের হজম ক্ষমতা এবং অন্ত্রাশয় ভাল রাখতে সাহায্য করে[2]

ফ্যাটও আমাদের দেহে শক্তি প্রদান করে। এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টটি মস্তিষ্ক কার্য সম্পাদনা, হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার পাশাপাশি, আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে[3]

পেশি নির্মাণ, উদ্দীপক হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতির জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। এর সঙ্গে শরীরের প্রয়োজন হয় অ্যামিনো অ্যাসিডেরও। তবে এই অ্যামিনো অ্যাসিড শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না।

মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস -

খুব অল্প পরিমাণে জরুরি হলেও, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসগুলি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টসের সঙ্গে মিলে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে। পাশাপাশি শরীরে শক্তি যোগায়, মেটাবলিজম ঠিক রাখে, হাড় মজবুত করে, এবং মানসিক শান্তি যোগায়।

মোট ১৩ ধরনের অপরিহার্য ভিটামিন রয়েছে[3]। যেমন ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি বিভিন্ন অঙ্গ সঞ্চালন, পেশী ও হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখা এবং হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য। বিভিন্নধরনের খাদ্য মিলিয়ে সুষম ডায়েটের মধ্যে থাকলে সব ভিটামিনই শরীরে প্রবেশ করে। আর ভিটামিনের মতো মিনারেলও হাড়, দাঁত, পেশি, রক্ত, চুল স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং বিভিন্ন বিপাকীয় প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

বিভিন্ন শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়ার জন্য পটাশিয়াম, সালফার, ক্যালসিয়াম, এভং ম্যাগনেসিয়ামের মতো মিনারেলগুলি ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে আয়রন, জিঙ্ক, আয়োডিন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্লুরাইড এবং ক্রোমিয়ামের মতো খনিজগুলিরও প্রয়োজন রয়েছে[5]

জৈবগুণ সম্পন্ন পুষ্টি

মাইক্রো এবং ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টসগুলি আমাদের সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও কখনও কখনও এই পুষ্টিগুলির সবটা শরীর শোষণ করতে পারে না। এটি নির্ভর করে শরীরের জৈব শোষণ ক্ষমতার উপর।

বায়োঅ্যাভেইলঅ্যাবেলিটি-র অর্থ হল কোনও পুষ্টির যে পরিমাণ জৈবগুণ শরীর শোষণ করতে পারে এবং শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়াগুলি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কাজে লাগাতে পারে।

ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টসগুলির মধ্যে ৯০ শতাংশ জৈবগুণই শরীর শোষণ করতে সক্ষম হয়। যেখানে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসগুলির ক্ষেত্রে সেই শোষণের পরিমাণ ততটাও নয়।

যদিও এই জৈবগুণ* নির্ভর করে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত বিভিন্ন বিষয়ের উপর। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয়ের দ্বারা পুষ্টির জৈবগুণ প্রভাবিত হয়। এর মধ্যে একটি হল ঠিকমতো চিবিয়ে না খাওয়া। কোনও পুষ্টির থেকে সর্বোচ্চ জৈবগুণ বের করে আনার ক্ষেত্রে চিবিয়ে খাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি খাদ্যকে ভেঙ্গে তার ভিতর থেকে কার্যকরী পুষ্টিগুণ বের করে আনে। ঠিকমতো চিবিয়ে না খেলে খাদ্য ভাঙ্গে না যার ফলে সেই খাদ্যের পুষ্টিগুণ শোষণের পরিমাণ হ্রাস পায়। এছাড়াও কোনও খাদ্য বেশি রান্না হয়ে গেলে, কিংবা তেলে ভাজলেও সেই খাদ্যের পুষ্টিগুণ হ্রাস পায়। একইভাবে খাদ্যের মধ্যেও কিছু অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট থাকে। যা খাদ্যের জৈবগুণকে অনেকটা কমিয়ে দেয়।

এই বিষয়টি বিশেষ করে সেই সমস্ত শিশুদের ভীষণভাবে প্রভাবিত করে, যাদের সার্বিক বিকাশের জন্য ভিটামিন ও মিনারেল প্রয়োজন। তাই প্রত্যেক বাবা-মা'য়েরই উচিৎ, তাদের বাচ্চাকে জৈবগুণ সম্পন্ন পুষ্টি প্রদান করা। একই সঙ্গে, রোজকার ডায়েটে, হরলিক্স^ যোগ করলে, শিশুদের রোজকার মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসগুলির চাহিদাও পূর্ণ হবে[6]। হরলিক্স হল একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় যার মধ্যে রয়েছে সবকটি জরুরি পুষ্টির জৈবগুণ*। এবং এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।

[1] Natural Sources of Carbohydrates - FitnessHealth101.com. http://www.fitnesshealth101.com/fitness/nutrition/basics/natural-carbs

[2] https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3614039/

[3] https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2805706/

[4] Vitamins and Minerals Review - Supplement Police. https://supplementpolice.com/health-guides/vitamins-and-minerals-review/

[5] https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC4940574/

[6] https://www.horlicks.in/horlicks-home/articles/list-of-foods-that-contain-micronutrients.html

ডিসক্লেইমার

এই নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত সম্পূর্ণভাবে লেখকের নিজস্ব মতামত এবং শিক্ষামূলক স্বার্থে প্রকাশিত। শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে উপদেশের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

ট্রেডমার্কগুলি GSK গ্রুপের কোম্পানির মালিকানাধীন অথবা লাইসেন্সপ্রাপ্ত।

হরলিক্স একটি পুষ্টিকর পানীয় যা রোজকার ডায়েটেরই একটি অঙ্গ।

^১৯৯০-২০০০-এ [Nutr 2006:22; S15-25] পরীক্ষার ভিত্তিতে এই দাবি করা হচ্ছে।

* ফোলেট, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি২, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন সি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE