প্রতীকী ছবি
কখনও কি আপনি আপনার বাচ্চা দিকে তাকিয়ে দেখেছেন আর ভেবেছেন যে পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া সত্ত্বেও, আপনার বাচ্চার শরীরে কোনও প্রভাব পড়ছে না কেন? যদি আপনার মনে এমন ভাবনা এসে থাকে, তবে আপনিও সেই লক্ষ লক্ষ বাবা-মা'র মধ্যে একজন, যারা এই একই ভাবনা নিয়ে প্রতিনিয়ত উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছেন। এর কারণ হতে পারে যে আপনার বাচ্চা সারাদিনে যা খাচ্ছে, সেই খাদ্যের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ শরীর শোষণ করতে পারছে না। খাদ্য থেকে পুষ্টিগুণের শোষণ ক্ষমতা নির্ভর করে খাদ্যের জৈব পুষ্টিগুণের* উপরে। খাদ্য থেকে শরীর যে পরিমাণ পুষ্টি শোষণ করতে পারে এবং তা ব্যবহার করতে পারে, তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর - যেমন বয়স, মানসিক অবস্থা, লিভার বা অন্ত্রাশয়ের সমস্যা, খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া ইত্যাদি। চলুন দেখে নি এই ছোট ছোট বিষয়গুলি -
১. স্বাস্থ্যের অবনতি
খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণের জন্য আমাদের শরীরে বিভিন্ন পথ রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, এগুলি ততটা শক্তিশালী হয় না। জীবনধারণের পরিবর্তন কিংবা নির্দিষ্ট অসুস্থতার দ্বারা এগুলি প্রভাবিত হতে পারে। যদি আমাদের শরীরের শোষণ ক্ষমতার পথগুলি কোনও স্বাস্থ্যের অবনতির বা নির্দিষ্ট শরীরিক অসুস্থতার কারণে বাধাগ্রস্ত হয়, তা হলে শরীরে পুষ্টির পরিমাণও কমতি থাকে। মনে রাখতে হবে, ভাল স্বাস্থ্যের জন্য পাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্ত্র ভাল রাখার জন্য প্রোবায়োটিকস ভাল সমাধান। তবে জিনগত সমস্যাও কিন্তু খাদ্য থেকে সঠিক পুষ্টিগুণ শোষণের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
২. বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি
খাদ্যের মধ্যে উপস্থিত থাকা টক্সিন তথা বিষাক্ত পদার্থ, খাদ্যের পুষ্টিগুণের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম, পারদ, লেড,কিংবা আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত মেটাল অনেক খাদ্যে মজুত থাকে। যা খাদ্যকে বিষাক্ত করে তোলে। এছাড়াও রান্না করলে, অক্সালেটস, গোইট্রোজেনস এবং মেইলার্ডের মতো বিষাক্ত পদার্থেরও কিন্তু বিক্রিয়া হয়, যা ক্ষতিকারক।
৩. খাদ্যের পক্রিয়াকরণ
দূর্ভাগ্যজনকভাবে, খাওয়ার তৈরির সঠিক কোনও উপায় নেই। প্রতিটি কৌশলেই কিছু ইতিবাচক কিংবা কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। যেমন কোনও খাদ্য বেক করার বদলে সেদ্ধ করলে আয়োডিন বেশি মাত্রায় নষ্ট হয়। কাঁচা সবজি এবং ফল খেলে শরীরে বিশেষ কিছু পুষ্টির শোষণ ভাল হয়। অন্যদিকে বীজ, বিনস বা দানা জাতীয় শস্য ভিজিয়ে রাখলে বা তার ফার্মেশন করলে, মিনারেলের পরিমাণ বেড়ে যায়। আবার, রান্না করার সময় ফাইবার ভেঙ্গে গেলে, শরীরের মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টিগুণের পাচন ক্ষমতা বেড়ে যায়। অন্যদিকে যে পুষ্টিগুলি তেলে দ্রবনীয়, সেগুলির জন্য ফ্যাটের প্রয়োজন পড়ে সর্বাধিক পুষ্টিগুণ শোষণের জন্য।
৪. সহায়ক পুষ্টি
কিছু পুষ্টি রয়েছে, যে গুলি একে অপরকে শোষণ হতে সহায়তা করে, যদি সেগুলিকে একসঙ্গে খাওয়া হয়। যেমন, ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে সবথেকে ভাল শোষণ হয় ক্যালসিয়াম। ভিটামিন-সি এর সঙ্গে আয়রন সমৃদ্ধ খাওয়ার খেলে, আমাদের দেহে সর্বাধিক পরিমানে আয়রন শোষিত হয়। যখন বিভিন্ন ধরনের খাওয়ার খাওয়া হয়, তখন বিভিন্ন মাইক্রোনিউট্রেন্টস শোষণ হয়, যা একে অপরকে শোষণ হতে সহায়তা করে।
৫. খাদ্য প্রতিযোগিতা
যেমন ভাবে কিছু খাদ্যের সমাহার জৈব পুষ্টিগুণ শোষণ হতে সাহায্য করে, তেমনই কিছু কিছু খাদ্য একসঙ্গে খেলে ঠিক তার বিপরীতটা হয়। প্রায়শই, একই রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাদ্য শরীরের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে, শরীরে শোষণ হওয়ার জন্য [1]।
এবার পরবর্তীকালে যখনই আপনি আপনার বাচ্চার শরীরের পুষ্টি নিয়ে ভাববেন, মনে রাখবেন যে তার শরীর খাদ্য থেকে সমস্ত পুষ্টি শোষণ করছে না। তাই অবশ্যই বাচ্চাকে জৈব পুষ্টিগুণ যুক্ত খাদ্য সম্পন্ন সঠিক ডায়েট দিন। সেই সঙ্গে রোজ এক কাপ হরলিক্স। এর মধ্যে রয়েছে সমস্ত জৈব পুষ্টিগুণ যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত^।
[1] https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/11509108
ডিসক্লেইমার
হরলিক্স একটি পুষ্টিকর পানীয় যা রোজকার ডায়েটেরই একটি অঙ্গ।
^১৯৯০-২০০০-এ [Nutr 2006:22; S15-25] পরীক্ষার ভিত্তিতে এই দাবি করা হচ্ছে।
* ফোলেট, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি২, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন সি
এই নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত সম্পূর্ণভাবে লেখকের নিজস্ব মতামত এবং শিক্ষামূলক স্বার্থে প্রকাশিত। শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে উপদেশের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy