সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করেন আপনি? প্রতি দিন ৯ ঘণ্টা করে সপ্তাহে ৬ দিন? এমনটাই যদি আপনার সপ্তাহিক রুটিন হয় তা হলে সাবধান। চিকিত্সকেরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত সময় কাজ করার ফলেই বাড়ছে অনিদ্রা, অবসাদের মতো সমস্যা, যা পরবর্তী কালে ডেকে আনছে বড়সড় শারীরিক সমস্যা। এমনকী, মহিলাদের ক্ষেত্রে তা আয়ুও কমিয়ে দিচ্ছে বলে জানাচ্ছেন এক দল গবেষক।
ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক টানা ৩২ বছর ধরে কাজ করা সাড়ে ৭ হাজার জনের উপর এক গবেষণা চালান। এদের মধ্যে ৭২ শতাংশ সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন, তিন শতাংশ কাজ করেন ৬০ ঘণ্টার বেশি ও ২৮ শতাংশ মানুষ সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার কম কাজ করেন। কাজের সময় ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গবেষকদের মত, অনেকেই মনে করেন বেশি সময় কাজ করলে তাঁদের বেতন বাড়ার, পদোন্নতির সম্ভাবনা বাড়ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাঁদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
গবেষণার ফলে দেখা গিয়েছে, যাঁরা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন পরবর্তী সময়ে তাঁদের মধ্যে বাতের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। যা মহিলাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি আশঙ্কাজনক। যে সব মহিলা সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন তাঁদের মধ্যে হার্টের সমস্যা, বাত ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়।
মুখ্য গবেষক অধ্যাপক অ্যালার্ড ডেম্বে বলেন, ‘‘কেরিয়ারের প্রথম দিকে কাজের সময় নিয়ে কেউই অত মাথা ঘামান না। তাই ২০, ৩০, ৪০ বছর বয়সের কাজের অভ্যাস পরবর্তী জীবনের জন্য বড়সড় সমস্যা ডেকে আনে।’’
তবে এই পরীক্ষা থেকে উঠে এসেছে আরও এক অদ্ভুত তথ্য। দেখা গিয়েছে, যাঁরা সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ ঘণ্টা কাজ করেন তাঁদের হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা যাঁরা ৪০ ঘণ্টার কম কাজ করেন তাঁদের তুলনায় কম। এর ব্যাখ্যা হিসেবে ডেম্বে বলেন, ‘‘হয়তো এঁরা বেশি ক্ষণ কাজ করছেন। কিন্তু কাজের জায়গায় কত ক্ষণ থাকবেন, কখন বেরোবেন সেই স্বাধীনতা থাকলে ক্লান্তি, স্ট্রেস অনেক কম হয়। ফলে শরীর সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।’’
আরও পড়ুন: আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭, জেনে নিন দাম ও ফিচারস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy