হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ এই সময়ের অন্যতম লাইফস্টাইল ডিজিজ। এই মুহূর্তে ভারতের প্রতি তিন জন প্রাপ্তবয়স্কের এক জন উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। এবং প্রতি বছর এই সমস্যায় দেশে ২.৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে ১৭ মে বিশ্ব হাইপার টেনশন দিবস ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভারতীয় চিকিত্সকদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগার হার অত্যন্ত বেশি। সমীক্ষা বলছে, ভারতীয় চিকিত্সকদের মধ্যে ৫০ শতাংশই হারপার টেনশনে ভুগছেন। অতিরিক্ত স্ট্রেসই এর কারণ বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এই স্ট্রেস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে ২০-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হাইপার টেনশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। আর তার ফলে ক্রমশ বাড়ছে স্ট্রোক, হার্টের অসুখ, ভাসকুলার ডিমেনশিয়া, ক্রনিক কিডনির অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।
সাধারণত রক্তচাপ যদি ১৪০/৯০-এর বেশি হয় তা হলেই চিকিত্সকরা একে উচ্চ রক্তচাপ বলে চিহ্নিত করে থাকেন। আর যদি রক্তচাপ ১৮০/১২০ ছাড়িয়ে যায় তা হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হল, কোনও কোনও ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কারণে মাথা যন্ত্রণা, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, নাক দিয়ে রক্তপাতের মতো উপসর্গ দেখা দিলেও দীর্ঘ দিন ধরে কোনও বাহ্যিক লক্ষণ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। যার ফলে রক্তনালী ব্লক হয়ে গিয়ে নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ কারণেই হাইপার টেনশনকে ‘দ্য সাইলেন্ট কিলার’ বা নীরব ঘাতক বলে থাকেন চিকিত্সকরা। সাবধান থাকতে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস, জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য
হাইপার টেনশনের কোনও বিশেষ কারণ সে ভাবে জানা না গেলেও অতিরিক্ত ওজন, শরীর চর্চার অভাব, অনিদ্রা, অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, নুন বেশি খাওয়া, বয়স (৬৫ বছরের বেশি), দৌড়নো ও পারিবারিক ইতিহাস থাকলে হাইপার টেনশন সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy