আগুন লাগে এই সেমিনার হলেই।—নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতালের সেমিনার হলে আচমকা আগুন লেগে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল পাশের রোগীদের ওয়ার্ডে। বুধবার দুপুরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। ভয়ে অনেক রোগীই বাইরে বেরিয়ে আসেন। পরে অবশ্য দেখা যায় এসি বিকল হয়ে কোনও ভাবে আগুন লেগে গিয়েছিল ওই ঘরে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর দেড়টা নাগাদ নতুন ভবনের ওই সেমিনার হলে মেডিসিন বিভাগের এইচআইভি সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভা ছিল। তার কিছুক্ষণ আগে ঘরের এসি মেশিনগুলি চালু করতে গিয়েই ওই ঘটনা ঘটে। আচমকা ধোঁয়া দেখে আতঙ্ক ছড়ায় পাশের হার্ট, মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগে। রোগীদের অনেকেই ছুটোছুটি করে ওয়ার্ড থেকে বাইরে চলে আসেন। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাতিল হয়ে যায় সেমিনার হলের পাশের আলোচনাসভাও।
হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় সেমিনার হলের পাশের ওই ওয়ার্ডেরই কর্মী। তিনি বলেন, “দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই আলোচনাসভা থাকায় হলের এসিগুলি চালু করা হচ্ছিল। হঠাত্ই একটি এসি থেকে প্রচুর ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। আমরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তবে দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।” প্রাথমিক তদন্তের পরে দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকেই ওই অগুন লেগেছিল।
হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই এসি মেশিনে আগুন লেগে বিপত্তি দেখা যায় হাসপাতালে। আর আশুপাশের জেলার চাপ থাকায় বিএমসিএইচে সবসময়েই প্রচুর রোগী ভর্তি থাকেন। ফলে যে কোনও মূহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বারবার নিরাপত্তার প্রশ্ন ওঠার পরেও হাসপাতালের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। ফলে দমকল পৌঁছনোর আগে আগুন নিয়ন্ত্রণের কোনও উপায়ও নেই। হাসপাতালের সুপার তথা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সহ-অধ্যক্ষ উত্পল দাঁ বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের নিজেদের একটি ফায়ারফাইটিং ইউনিট চালু করার চেষ্টা করছি। হাসপাতালের বিদ্যুত্ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা পিডব্লিউডি ইলেকট্রিক্যাল বিভাগকে বলা হয়েছে, আচমকা যাতে আগুন না ধরে, সেদিকে নজর রেখেই তাঁরা যেন নানা ধরনের ওয়্যারিং লাগান। তবে আজকের আগুন সহজেই নিয়ন্ত্রনে এসেছে। তবে ভবিষ্যতে আমাদের সাবধান হতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy