Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ডায়াবেটিস থেকে রেহাই পেতে ‘মিশন সন্দেশ’

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চালু করলেন ‘মিশন-সন্দেশ’ নামে এক প্রকল্পের। হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বসু জানান, ডায়াবেটিস মুক্ত জীবন গড়ে তুলতে গেলে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয় সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই এমন উদ্যোগ।

দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার হল দ্য মিশন হাসপাতালের অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার হল দ্য মিশন হাসপাতালের অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৪৫
Share: Save:

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চালু করলেন ‘মিশন-সন্দেশ’ নামে এক প্রকল্পের। হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বসু জানান, ডায়াবেটিস মুক্ত জীবন গড়ে তুলতে গেলে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয় সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই এমন উদ্যোগ।

শুক্রবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত মানুষজনের ডায়াবেটিস নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। মিষ্টি কম তেতো বেশি, না কি মিষ্টি একেবারেই বাদদর্শকদের ধন্দ কাটিয়ে উঠে এল সারমর্ম, তেতোই খান বা মিষ্টি, মোদ্দা কথা, ব্যায়াম করতে হবে আর ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা কমাতে হবে। চিকিৎসকেরা জানান, ডায়াবেটিস আসলে বিপাকীয় গোলযোগ জনিত রোগ। রক্তে শর্করার পরিমাণ অস্বাভাবিক হয়ে যায়, অগ্নাশয়ে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না। বারবার প্রসাব ও জলতেষ্টা পাওয়া, গলা শুকিয়ে যাওয়া, খিদে বেড়ে যাওয়া ও ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমা, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি উপসর্গ থাকলেই সচেতন হতে হবে। এই রোগ থেকে বাঁচতে গেলে প্রতিদিন ব্যায়াম, সুষম আহার, ধ্যান ও পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ধূমপান, মদ্যপান বা অযথা দুশ্চিন্তা একেবারে মানা। প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠান। ছিলেন গায়ক সুরজিৎ। অনুষ্ঠান শুরুর আগে উদ্যোক্তারা ঘোষণা করেন, গান শুনুন এবং হেঁটে বাড়ি যান। হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎবাবু বলেন, “ডায়াবেটিসের বিপদ সর্ম্পকে মানুষকে সচেতন করতে হবে। আমরা সেই উদ্যোগ শুরু করেছি।”


বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে মিছিল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘মিশন সন্দেশ’ প্রকল্প ছড়িয়ে দেওয়া হবে শহর ছাড়িয়ে গ্রামে-গ্রামেও। মিষ্টির প্যাকেটে মিষ্টি থাকছে না। তার বদলে থাকছে একটি কালার কার্ড, যা প্রসাবে দিলে রং বদলে জানান দেবে, রোগ আছে কি না বা রোগের মাত্রা কেমন। এ ছাড়া থাকছে কী করবেন আর কী করবেন না, তা নিয়ে একটি পুস্তিকা। প্যাকেটের উপরে লেখা, ‘মিশন সন্দেশ, ডায়বেটিস মুক্ত জীবনের যাত্রা শুরু’। এ দিন অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। তিনি বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ অনেককে সচেতন করবে।” হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎবাবু বলেন, “এর আগে মশাবাহিত রোগ থেকে রেহাই পেতে বিশেষ ধরনের রাখি বিতরণ করা হয়েছিল। এ বার অনেকটা সেই ধাঁচেই মিশন-সন্দেশ প্রকল্প হাতে নেওয়া হল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

diabetes awareness campaign mission sandesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE