বিমানবন্দরের ঠিক পাশেই এই দৃশ্য। ছবি: শৌভিক দে
কলকাতা বিমানবন্দরের ঝাঁ-চকচকে নতুন টার্মিনালে ঢুকলেই চোখ ধাঁধিয়ে যায়। অথচ, সেই টার্মিনালের বাইরেই মাঠে চরে বেড়াচ্ছে শুয়োরের দল!
বিমানবন্দর চত্বরে এয়ারপোর্ট থানার পিছন দিকে গাছ-গাছালির ঝোপ। রাস্তার ধার ঘেঁষে ওই গাছপালার পাশেই রয়েছে নর্দমা। ওই নর্দমার পাশেই অবাধে ঘুরে-বেড়ায় শুয়োরের দল। বিমানবন্দরের কর্মীদের দাবি, শুধু ওই জায়গায় আবদ্ধ থাকে না শুয়োরের পাল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পেরিয়েই আছে বিশাল মাঠ। সেই মাঠে জংলা গাছ বা বৃষ্টির জল জমে তৈরি হওয়া জলা জায়গার অভাব নেই। দিনভর সেখানেও মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে শুয়োরের পাল।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের আতঙ্ক ছড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে পুরসভাগুলিকে শহরের ‘বাজে’ শুয়োর সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই ‘শুয়োর হটাও’ অভিযানে কার্যত কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পুরসভাগুলি। কারা ক’টা শুয়োর ধরতে পারল, তা নিয়ে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরের কিছু অংশ দক্ষিণ দমদম, রাজারহাট, নিউ ব্যারাকপুর এবং মধ্যমগ্রাম পুরসভার আওতায় পড়ে। নিজেদের এলাকায় শুয়োর হটাও অভিযান জোরকদমে চালালেও বিমানবন্দর চত্বরের মাঠে বরাহবাহিনীর অবাধ বিচরণ বিষয়ে কোনও খবর নেই এই চার পুরসভার কাছে। সকলের একই বক্তব্য, বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ তাদের এ বিষয়ে কিছুই জানাননি।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, শুয়োর তাড়াতে তাঁরাও অভিযান চালাচ্ছেন। বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা বিমানবন্দর চত্বরে শুয়োরের আনাগোনার কথা স্বীকার করে জানান, মূলত যশোহর রোড থেকে আড়াই নম্বর গেট দিয়ে যখন-তখন শুয়োরের দল ঢুকে পড়ছে। তিনি বলেন, “অন্যান্য জায়গার মতো আমরাও বিমানবন্দর চত্বরকে শুয়োরমুক্ত করার চেষ্টা করছি। স্থানীয় থানাকেও সচেতন করা হয়েছে। গত পাঁচ দিনের অভিযানে প্রচুর শুয়োর ধরা পড়েছে। আরও কিছু রয়েছে। সেগুলোকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমানবন্দর চত্বরের বাইরে বের করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
তবে আড়াই নম্বর গেট দিয়ে যখন তখন শুয়োর ঢুকে পড়া বন্ধ না করা গেলে এই সমস্যা রয়েই যাবে বলে তিনি মেনে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে যাতে ওই পথে বরাহবাহিনী বিমানবন্দর চত্বরে না ঢোকে, সে জন্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ? অধিকর্তা বলেন, “আড়াই নম্বর গেট দিয়ে সব সময়ে গাড়ি চলে। ওই গেট বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে ওখান দিয়ে যাতে শুয়োর ঢুকতে না পারে, সে জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy