Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোনের দ্বন্দ্ব। গাজিয়াবাদে আপ প্রার্থীর সেই ঘরোয়া বিবাদও অস্ত্র এখন বিজেপির। গত দেড় বছরে দিল্লিতে আপের যে চমকপ্রদ উত্থান হয়েছে, তার আঁতুড়ঘর এই গাজিয়াবাদ। অরবিন্দ কেজরীবাল এখন দিল্লিতে এসে থাকলেও বিজেপি নেতারাও জানেন গাজিয়াবাদে এখনও তাঁর প্রভাব যথেষ্ট। গত বারের সাংসদ রাজনাথ সিংহ নিজে সরে গিয়েছেন লখনউয়ে। বিজেপির হয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ। কংগ্রেস নামিয়েছে রাজ বব্বরকে।

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৪ ০৫:৪৪
Share: Save:

ঘরের কাজিয়া ভোটের মাঠে গাজিয়াবাদে

নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি

সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোনের দ্বন্দ্ব। গাজিয়াবাদে আপ প্রার্থীর সেই ঘরোয়া বিবাদও অস্ত্র এখন বিজেপির। গত দেড় বছরে দিল্লিতে আপের যে চমকপ্রদ উত্থান হয়েছে, তার আঁতুড়ঘর এই গাজিয়াবাদ। অরবিন্দ কেজরীবাল এখন দিল্লিতে এসে থাকলেও বিজেপি নেতারাও জানেন গাজিয়াবাদে এখনও তাঁর প্রভাব যথেষ্ট। গত বারের সাংসদ রাজনাথ সিংহ নিজে সরে গিয়েছেন লখনউয়ে। বিজেপির হয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ। কংগ্রেস নামিয়েছে রাজ বব্বরকে। তবে বিজেপি মনে করছে তাদের ভি কে সিংহকে মূলত টক্কর দিতে চলেছেন এই সাজিয়াই। এই পরিস্থিতিতে আজ ইলমি পরিবারে ভাঙন ধরাল বিজেপি। সাজিয়া ইলমির দাদা এজাজ ইলমি আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন। এজাজকে এ বার বোনের বিরুদ্ধে প্রচারে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দল। বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, ভাই-বোনের মধ্যে দীর্ঘদিনের পারিবারিক লড়াই রয়েছে। সেই বিবাদকে ভোটারদের সামনে তুলে ধরাই সাজিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণের অন্যতম কৌশল হতে চলেছে বিজেপির। বোনের বিরুদ্ধে এজাজের ভোটের ময়দানে ব্যবহার করে আম আদমি শিবিরের মনোবল ভাঙতে চাইছে বিজেপি শিবির। তিনি বোনের বিরুদ্ধে প্রচার করবেন কি না তা নিয়ে অবশ্য আজ সরাসরি কোনও উত্তর দেননি এজাজ। তাঁর কথায়, “গাজিয়াবাদের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে দল প্রচারে নামতে বললে আমি তা করব।”

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে জেরা কয়লা মামলায়

সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি

কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা টি কে এ নায়ারকে জেরা করল সিবিআই। আগামী সপ্তাহে, ২৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। তার আগে কিছু প্রশ্নের উত্তরের জন্য নায়ারকে জেরা করা জরুরি ছিল বলে সিবিআই সূত্রের খবর। ওই সূত্র জানিয়েছে, নায়ারের কাছে নানা প্রশ্ন-সহ একটি সবিস্তার চিঠি পাঠিয়েছিল সিবিআই। শনিবার সেগুলিরই উত্তর দেন নায়ার। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সেই সময়ে কোন নীতির ভিত্তিতে কয়লা বণ্টন করা হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন করা হয় নায়ারকে। মূলত কয়লা খনি নিলামে দেরি হওয়ার কারণ, কয়লা মন্ত্রকের বেশ কিছু হারানো ফাইল, হিন্দালকোর হাতে তালাবিরা কয়লা খনি তুলে দেওয়া নিয়েই সিবিআই বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিল তাঁকে। হিন্দালকোর হাতে ওই খনি তুলে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কয়লা-সচিব পি সি পারেখ এবং আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত ১৬টিরও বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নায়ার তাদের প্রশ্নের যা উত্তর দিয়েছেন সেগুলি আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টকে জানাবে সিবিআই। নায়ার ছাড়াও ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত আরও দুই আধিকারিক বিনি মহাজন এবং আশিস গুপ্তকেও জেরা করা হয়েছে।

মোদীর রাজ্যে প্রার্থী পরেশ

আমদাবাদ (পূর্ব) কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন পরেশ রাওয়াল। এক সময়ে তিনি সর্দার বল্লভভাই পটেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। পটেলকে কংগ্রেস প্রাপ্য সম্মান দেয়নি বলেই প্রচার করছে নরেন্দ্র মোদী শিবির। গুজরাতে তাঁর বিশাল মূর্তিও তৈরি হয়েছে। পটেলের ভূমিকায় অভিনয় করা পরেশের সঙ্গে মোদীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর জীবন নিয়ে তৈরি ছবিতে তাঁরই ভূমিকায় অভিনয় করছেন পরেশ। আগে মোদীর হয়ে প্রচারও করেছেন তিনি। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে রাওয়াল জানান, মোদীর অনুরোধেই ভোট ময়দানে নামছেন। কত ভোট পাবেন তা নিয়ে মাথাব্যথা তাঁর নেই, তবে চেষ্টার কসুর করবেন না। এক সময়ে আমদাবাদ-পূর্ব কেন্দ্র থেকে মোদীরই লড়ার কথা উঠেছিল। কিন্তু লালকৃষ্ণ আডবাণীর আসন-জট চলায় ওই আসনটি ফাঁকা রাখা হয়। ওই কেন্দ্রটি আডবাণী-ঘনিষ্ঠ হারীন পাঠকের। মোদী তাঁকে আর টিকিট দিতে চান না। আডবাণীর সমস্যা মিটে যাওয়ার পরে তাই পরেশের ভাগ্যেই শিকে ছিঁড়ল।

বিজেপিতে আকবর

বিজেপিতে যোগ দিলেন সাংবাদিক এম জে আকবর। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। এক সময়ে কংগ্রেসের মুখপাত্রও ছিলেন। শনিবার বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহের উপস্থিতিতে দলে যোগ দেন তিনি। আকবর জানান, তিনি ‘নীতি’-র জন্যই রাজনীতিতে ফিরেছেন। দেশের সামনে বড় সঙ্কট। মানুষের জন্য কিছু করার এটাই উপযুক্ত সময়। আকবরের মতে, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদীর চেয়ে বেশি কোনও নেতাকে নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়নি। তাঁর কথায়,“যাঁরা বার বার গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলছেন তাঁদের শ্রীকৃষ্ণ কমিটির রিপোর্ট পড়া উচিত। মোদীর নেতৃত্বেই দেশের সমস্যার সমাধান খোঁজা সম্ভব।”

নিলেকানির সম্পত্তি

প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক নন্দন নিলেকানিই এখনও পর্যন্ত এই ভোটের সব চেয়ে ধনী প্রার্থী। আইআইটিতে পড়াশোনা শেষ করার পরে মোটা মাইনের চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নিলেকানি। তখন তাঁর পকেটে ছিল মাত্র ২০০ টাকা। তবে ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বেঙ্গালুরু দক্ষিণ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী নিলেকানির মতে, তাঁর কর্মজীবনের অভিজ্ঞতাই আসল। সম্পত্তির পরিমাণ নয়। আম আদমি পার্টির (আপ) প্রার্থী সাংবাদিক আশুতোষের সম্পত্তির পরিমাণ ৮ কোটি টাকা। দিল্লি বিধানসভা ভোটের সময়ে আপ নেত্রী রাখি বিড়লার সম্পত্তি ছিল ৫১,১৫০ টাকার। এখন ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির কথা জানিয়েছেন তিনি।

চিরঞ্জীবীর বিস্ময়

মোদীর সঙ্গে নিজের ভাইয়ের বৈঠকে অবাক প্রাক্তন সুপারস্টার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরঞ্জীবী। সম্প্রতি জন সেনা নামে একটি নয়া দল গঠন করেছেন চিরঞ্জীবীর ভাই পবন কল্যাণ। শুক্রবার আমদাবাদে মোদীর সঙ্গে দেখা করেন পবন। বৈঠকের পরে পবন বলেন, “মোদীই প্রধানমন্ত্রী পদে উপযুক্ত ব্যক্তি। তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের তেলুগুভাষী মানুষ তাঁকেই সমর্থন করবেন।” চিরঞ্জীবীর কথায়, “আমার ভাই ধর্মনিরপেক্ষ বলেই জানি। মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ও কিছু জানে কি না, আমি জানি না। ও যদি সেই অভিযোগ নিয়ে কৈফিয়ত চাইতে মোদীর সঙ্গে দেখা করে থাকে তবে তা মেনে নেওয়া যেতে পারে।”

৩০% অভিযুক্ত

লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ও বিজেপি-র প্রতি তিন জন প্রার্থীর মধ্যে এক জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার একটি সমীক্ষায় এ কথা জানা গিয়েছে। দুই দলের ১৩ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুন ও অপহরণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। খাস রাজধানী দিল্লিতেই রয়েছেন বিজেপির সতীশ দুবে ও কংগ্রেসের রমেশচন্দ্র তোমর। দু’জনের বিরুদ্ধেই হত্যার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। দু’দলেরই ব্যাখ্যা, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত যে কেউ নির্দোষ। সব অভিযোগ সত্যও হয় না।

মণীশ নয়

লোকসভা ভোটে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হচ্ছেন না কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি। লুধিয়ানার এই কংগ্রেস সাংসদ এ বার না লড়ার ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই দলকে বার্তা দিচ্ছেন। অসুস্থতার জন্য তিনি লড়তে চাইছেন না বলে হাইকম্যান্ডকে জানান। যদিও কংগ্রেস সূত্র বলছে, পরাজয়ের ভয়েই পিছিয়ে যাচ্ছেন মণীশ। তবে গোড়ায় তাঁর অনুরোধে হাইকম্যান্ড রাজি না হলেও এখন তা মেনে নেওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। দলীয় সূত্রে খবর, লুধিয়ানায় মণীশের পরিবর্তে আনন্দপুর সাহিবের বর্তমান তরুণ সাংসদ রভনীত সিংহ বিট্টু বা পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রতাপ সিংহ বাজওয়াকে এ বার প্রার্থী করতে পারে দল।

প্রার্থীকে হুমকি

এনডিএফবির সংবিজিৎ গোষ্ঠী বিবৃতি প্রকাশ করে জানাল, তেজপুরের কংগ্রেস প্রার্থী ভূপেন বরা ও সুতিয়ার বিধায়ক পদ্ম হাজরিকা বড়োদের মধ্যে বিভাজন আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভূপেন বাবুর বিরুদ্ধে সংবিজিৎ বাহিনীর আরও অভিযোগ, রঞ্জনপন্থী এনডিএফবির প্রধান, রঞ্জন দৈমারিকে মোটা টাকা দিয়ে বড়ো ভোট কিনতে চেষ্টা করছেন ভূপেন। বরা জানান, এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ ও হুমকিকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

হত প্রাক্তন জঙ্গি

নিজের সংগঠনের চেয়ারম্যানের ভাইকে হত্যা করল জিএনএলএ-র অ্যাকশন কম্যান্ডার জিমি মোমিন। মেঘালয়ের গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএর চেয়ারম্যান চ্যাম্পিয়ন সাংমা কারাবন্দী। গত বছর তাঁর খুড়তুতো ভাই সার্ভিসন আর সাংমা আত্মসমর্পণ করেন। গত কাল সশস্ত্র জিএনএলএ জঙ্গিরা তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। পায়ে দু’টি গুলি করে। তিনি এক প্রতিবেশীর বাড়িতে ঢোকেন। কিন্তু জঙ্গিরা তাঁকে সেখান থেকে বের করে হত্যা করে।

ধৃত ১১

অসমের কোকরাঝাড়ে নিখোঁজ এক পরিবারের সদস্যদের ডাইনি অপবাদে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করে তাদের ১১ জন প্রতিবেশীকে আটক করল পুলিশ।

বেড়া ডিঙিয়ে

উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের বেজায় ভাবনায় ফেললেন রাহুল গাঁধী। সভায় বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। তার পরেই বেড়া ডিঙিয়ে সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর সঙ্গেই বেড়া ডিঙোতে হয় এসপিজি রক্ষীদের।

প্যারোলের মেয়াদ শেষে শনিবারই পুণের ইয়েড়ওয়াড়া জেলে ফিরলেন সঞ্জয় দত্ত। তিনি জেলে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠতেই
কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী মান্যতা এবং যমজ ছেলেমেয়ে। বান্দ্রায় সঞ্জয়ের বাড়ির বাইরে পিটিআইয়ের তোলা ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE