পুলওয়ামার ঘটনায় নিহত হয়েছেন সিআরপিএফের হেড কনস্টেবল, অসমের বাক্সার তামুলপুরের বাসিন্দা মনেশ্বর বসুমাতারি। ছবি: পিটিআই।
বাবা ও বাবার সহকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায় ধনঞ্জয় বসুমাতারি। পুলওয়ামার ঘটনায় নিহত সিআরপিএফের হেড কনস্টেবল, অসমের বাক্সার তামুলপুরের বাসিন্দা মনেশ্বর বসুমাতারির দেহ আজ সন্ধ্যায় বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে গুয়াহাটি এসে পৌঁছয়। কফিনে কাঁধ দেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। ছেলে ধনঞ্জয় বলে, ‘‘আমিও সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাই। বাবাকে যারা মেরেছে তাদের আমি মারব।’’
আজ বড়ো জনজাতি পরিষদ (বিটিসি)-এর প্রধান হাগ্রামা মহিলারিও মনেশ্বরের বাড়ি যান। মনেশ্বরের পরিবারকে বিটিসি-র তরফে অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। বিটিসি প্রশাসন। অন্য দিকে, কামরূপের ডিমোরিয়ার বাসিন্দা, ৯২ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল কনক কলিতাও বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর পরিবারকে ফোন করে জানানো হয়েছে, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
পাশাপাশি, আজ গুয়াহাটি-সহ অসমের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান-বিরোধী মিছিল বেরোয়। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকানপাট। পোড়ানো হয় পাক পতাকা। তিনসুকিয়ায় বন্ধ ডাকা হয়। এ এ দিকে, এআইইউডিএফ বিধায়ক আমিনুল ইসলামের এক ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। আমিনুল লেখেন, কেন ভারতে বার বার ভোটের আগেই জঙ্গিহানা হয়? এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করায় আমিনুলের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অন্য দিকে, পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের পরিবারের কল্যাণে একদিনের বেতন দেবে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা। আজ শিলচর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রছাত্রীরাও অংশ নেয়। পৌরোহিত্য করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য রঞ্জুরানি ধামালা। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy