Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষে ওড়িশায় নিহত ২

ওড়িশা শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ানকে পুড়িয়ে মেরেছে জনতা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ০৪:৫৬
Share: Save:

ওড়িশার লঞ্জীগঢ়ে বেদান্ত গোষ্ঠীর কারখানার কাছে বাহিনী-জনতা সংঘর্ষে নিহত হলেন দু’জন। পুলিশ জানিয়েছে, ওড়িশা শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ানকে পুড়িয়ে মেরেছে জনতা। অন্য দিকে সংঘর্ষে এক গ্রামবাসীও নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন। ২০১৮ সালের ২২ মে তামিলনাড়ুতে বেদান্ত গোষ্ঠীরই একটি কারখানায় বিক্ষোভকারীদের উপরে গুলি চালায় পুলিশ। তাতে ১৩ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন।

কালাহান্ডি জেলার পুলিশ সুপার বি গঙ্গাধর জানান, কারখানা সংলগ্ন রেঙ্গোপালি ও অন্য কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা আজ চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁদের একাংশ বেদান্ত-পরিচালিত স্কুলে গ্রামবাসীদের ছেলেমেয়েকে ভর্তি করার সুযোগও দাবি করেন। বিক্ষোভকারীদের একাংশ জোর করে কারখানায় ঢুকতে চাইলে তাঁদের বাধা দেন সেখানে মোতায়েন ওড়িশা শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা। তার পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের প্রচণ্ড মারধর শুরু করেন জওয়ানেরা। গুরুতর জখম হন বছর পঁয়ত্রিশের ডানি পাত্র। তিনি ছত্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ওড়িশা শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা দাবি, গ্রামবাসীরাই তাঁদের উপরে হামলা করেন। আত্মরক্ষার জন্য পদক্ষেপ করতে হয়। বিক্ষোভকারীদের একাংশ কারখানার কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টারের একটি ঘরে জওয়ান সুজিতকুমার মিন্জ়কে আটকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুড়ে মারা যান মিন্জ়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বেদান্ত গোষ্ঠীর তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই খবরে আমরা ব্যথিত। এই বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষকে সব রকম সাহায্য করব। তবে বিক্ষোভকারীদের কাছে আমাদের অনুরোধ, তাঁরা যেন এমন পদক্ষেপ না করেন। সব সমস্যাই আলোচনার মাধ্যমে মেটানো সম্ভব।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, বেদান্তের ওই কারখানা নিয়ে অনেক দিন ধরেই ক্ষোভ রয়েছে। কারণ, নিয়মগিরি এলাকার লঞ্জীগঢ়ে ওই কারখানার জন্য আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কারখানায় আরও স্থানীয় কর্মী নেওয়ার দাবিও বহু দিনের। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ-কর্তা জানিয়েছেন, বেদান্ত কর্তৃপক্ষ এক স্থানীয় কর্মীকে বরখাস্ত করায় আরও ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার জেরেই এ দিন বিক্ষোভ শুরু হয়।

তবে বেদান্ত-কর্তা অজয় দীক্ষিতের দাবি, ওই কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তদন্ত শুরু হয়েছিল। তার জেরে ওই কর্মী ইস্তফা দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Odisha Violence Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE