Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

উন্নয়নে উত্তর-পূর্বে রাশ সন্ত্রাসবাদে, দাবি সেনার

নাগাল্যান্ড ও মণিপুরের বহু জঙ্গিগোষ্ঠী এর ফলে চাপে পড়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনাতেও বসতে রাজি হচ্ছে।

অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উন্নয়ন প্রকল্পও হাতিয়ার হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন সেনাকর্তারা। ছবি: এপি।

অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উন্নয়ন প্রকল্পও হাতিয়ার হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন সেনাকর্তারা। ছবি: এপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫১
Share: Save:

শুধু জঙ্গিদমন অভিযান নয়, উত্তর-পূর্বে অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উন্নয়ন প্রকল্পও হাতিয়ার হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন সেনাকর্তারা। তাঁদের দাবি, এর ফলে সাফল্যও মিলছে। নাগাল্যান্ড ও মণিপুরের বহু জঙ্গিগোষ্ঠী এর ফলে চাপে পড়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনাতেও বসতে রাজি হচ্ছে।

শনিবার ফোর্ট উইলিয়ামে সেনার পদক প্রদান অনুষ্ঠানের পর জিওসি-ইন-সি (ইস্টার্ন কম্যান্ড) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজমুকুন্দ নরবনে বলেন, ‘‘নাগরিকদের সুবিধার্থে উত্তর-পূর্বে নানান প্রকল্প চালু করেছে সেনা। সেই প্রকল্পে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রকল্পের প্রয়োজনীয় জিনিস স্থানীয় বাজার থেকেই কেনায় অর্থনৈতিক ভাবেও লাভবান হয়েছেন নাগরিকেরা।’’ সূত্রের খবর, অসমে আলফা জঙ্গিরা ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে। তা হলে পরিস্থিতি কি আদৌ শান্ত হয়েছে? সেনার বক্তব্য, আলফার উপরে তারা নজর রাখছে। ভারত-মায়ানমার সীমান্তেও নজরদারি বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিহানায় ৪৯ জন সিআরপি জওয়ান মারা গিয়েছেন। সেই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি নরবনে। পুলওয়ামার পরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না, তাও বলতে চাননি। তবে এ দিন সেনা অফিসার ও কর্মীরা নিহত জওয়ানদের স্মৃতিতে বাঁ হাতে কালো কাপড় বেঁধে অনুষ্ঠানে হাজির হন।

সেনার বিশেষ আইনি ক্ষমতা (আফস্পা) নিয়েও উত্তর-পূর্বের নাগরিকদের ক্ষোভ রয়েছে। উত্তর-পূর্বে আফস্পা নিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নরবনের মন্তব্য, ‘‘কোনও এলাকায় সেনা অভিযানের প্রয়োজনীয়তা সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্র স্থির করে। কোনও রাজ্য উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হতে না-চাইলে সেনা অভিযান করবে না, আফস্পাও থাকবে না।’’ সেনা সূত্রের দাবি, মেঘালয় থেকে ইতিমধ্যেই আফস্পা উঠে গিয়েছে।

এ দিন সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য পুরস্কার পান সেনা অফিসার ও জওয়ানেরা। ২০১৭ সালে পুলওয়ামাতেই জঙ্গিদমন অভিযানের জন্য সেনা মেডেল পেয়েছেন মেজর সচিন সিংহ রাওয়ত। সাহসিকতার জন্য আরও ন’জন পুরস্কৃত হয়েছেন। ডোকলাম পরিস্থিতি নিপুণ ভাবে সামলানোর জন্য ৫ এবং ১০ নম্বর শিখ লাইট রেজিমেন্ট এবং গোর্খা রেজিমেন্টকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Indian army Terrorism Terror Attack
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE