গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএসের সতেরো জন দলত্যাগী বিধায়কের পদ খারিজের যে সিদ্ধান্ত বিধানসভার তৎকালীন স্পিকার নিয়েছিলেন, তা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত ওই বিধায়কদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সব পক্ষই। এই রায়ের প্রেক্ষিতে কর্নাটক কংগ্রেসের দাবি, ‘অবৈধ’ বি এস ইয়েদুরাপ্পা সরকারকে বরখাস্ত করতে হবে।
আদালতের রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী সি এন অশ্বত্থনারায়ণ জানিয়েছেন, ওই ১৭ জন বিধায়ক আগামিকাল বিজেপি-তে যোগ দেবেন।
মাস চারেক আগে ওই বিধায়কদের দলত্যাগের কারণে পতন ঘটেছিল এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারের। দলত্যাগ বিরোধী আইনে কংগ্রেসের ১৪ জন ও জেডিএসের তিন বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন তৎকালীন স্পিকার কে রমেশ কুমার। একই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০২৩ সাল অর্থাৎ কর্নাটকের বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই বিধায়কেরা নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন বরখাস্ত বিধায়কেরা। আজ ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ বলেছে, ‘‘আবেদনকারীরা যে ভাবে আদালতে এসেছেন, তা ঠিক নয়। স্পিকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখছি। তবে এক জন ব্যক্তি কত দিন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না, তা স্পিকার ঠিক করতে পারেন না। তাই পদ খারিজ হওয়া বিধায়কদের ভোটে লড়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’’
এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা বলছেন, ‘‘প্রাক্তন স্পিকার রমেশ কুমার এবং সিদ্দারামাইয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের এই রায়।’’ দলত্যাগী বিধায়কেরাও এই রায়ে রীতিমতো খুশি। তাঁদেরই এক জন এ এইচ বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট আমাদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ রমেশ কুমার জানিয়েছেন, বিধায়কদের পদ খারিজের সিদ্ধান্ত আদালত বহাল রাখায় তিনি কিছুটা স্বস্তিতে।
কর্নাটকের ১৭টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে উপনির্বাচন আগামী ৫ ডিসেম্বর। সূত্রের খবর, দলত্যাগী বিধায়কেরা তাঁদের জেতা আসনগুলিতে এ বার বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন। রায়কে স্বাগত জানিয়ে কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রমেশ গুন্ডু রাও বলেছেন, ‘‘বিজেপির বিবেক বলে যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে, তা হলে ওই দলত্যাগীদের প্রার্থী করা উচিত নয়।’’ কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্য, ‘‘অন্য দলের উস্কানিতে যে বিধায়কেরা পদত্যাগ করে দলবদল করতে চান, এই রায় তাঁদের জন্য একটা শিক্ষা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy