তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে টানাপড়েনের মধ্যেই শশিকলা শিবিরের ১৮ জন বিধায়ককে বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করলেন স্পিকার পি ধনপাল। এর ফলে মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামী বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্ত হলেন ঠিকই, তবে স্পিকারের পদক্ষেপ ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শশীর ভাইপো টিটিভি দিনকরণ। বিরোধী ডিএমকে, পিএমকে-র মতো দলগুলি স্পিকারের সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ আখ্যা দিয়েছে। তামিলনাড়ু বিধানসভায় মোট আসন ২৩৪। কাল পর্যন্ত বিধানসভায় যে সমীকরণ ছিল, তা হল, স্পিকার ও প্রয়াত জয়ললিতার আসন বাদ দিয়ে পলানীস্বামীর দিকে ১১৩ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল। অর্থাৎ, ম্যাজিক সংখ্যা ১১৭ না থাকায় সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বরং বিরোধী শিবিরেই ছিল সংখ্যার জোর। ডিএমকের ৮৯, কংগ্রেসের ৮, আইইউএমএল-এর ১ এবং দিনকরণ শিবিরের দিকে থাকা এডিএমকে-র ২১ জন বিদ্রোহী বিধায়ক একজোট হলে বিরোধী শিবিরে ১১৯ জনের সমর্থন দাঁড়ায়। কিন্তু আজ স্পিকারের সিদ্ধান্তের পরে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় বিধায়কের সংখ্যা ১০৭-এ পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবারই নতুন করে আস্থাভোটে যাওয়ার কথা ভাবছেন পলানীস্বামী।
যে ভাবে স্পিকার এডিএমকে-র ১৮ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে আজ বরখাস্ত করেছেন, তাতে কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে। বিজেপি সাংসদ ও বিশিষ্ট আইনজীবী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মনে করেন, আদালতে স্পিকারের সিদ্ধান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। কারণ, যাঁদের বরখাস্ত করা হল, তাঁরা বিধানসভার ভিতরে দলের নির্দেশ অমান্য করেননি। সে ক্ষেত্রে কী কারণে তাঁদের সদস্যপদ চলে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। স্পিকারের সিদ্ধান্তের ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ রয়েছে বলেও অভিযোগ বিরোধীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy