রাহুল গাঁধী।
নরেন্দ্র মোদীর হাত থেকে ‘আবেগের’ তাস কেড়ে নিতে কৌশল বদলে পথে নামছেন রাহুল গাঁধী।
ক’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিরোধীরা জোট বাঁধছেন একটিই লক্ষ্য নিয়ে— মোদী হটাও। কংগ্রেস বুঝতে পারছে, মোদী এ সব বলে আসলে আবেগের তাস খেলতে চাইছেন। যে ভাবে গত লোকসভা ভোটের সময় নিজের পরিচয় তুলে জনতার আবেগ নিজের দিকে টেনে নিয়েছিলেন। তাই সে অস্ত্র এখনই ভোঁতা করতে কৌশল বদল করছেন রাহুল। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, ‘‘মোদী হটাও’ থেকে রাহুল গাঁধীর এখন অনেক বেশি জোর হবে ‘দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে। মোদীকে বেশি আক্রমণ করে তাঁর গুরুত্ব বাড়ানো হবে না। রাহুল নিজের প্রচারেও নানা ভাবে অভিনবত্ব আনছেন।’’
আগামী সপ্তাহেই শ’খানেক মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করবেন রাহুল। চার বছরেও মোদী যেটি করে উঠতে পারেননি। এমনকী হাজারো সমালোচনাতেও সংবাদমাধ্যমকে কার্যত এড়িয়েই গিয়েছেন তিনি। সমাজের বিশিষ্ট জনদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক শুরু করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ বারে আদিবাসী এবং ওবিসি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের ব্যক্তিগত চিঠিও লিখছেন তিনি। দলের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা অশোক গহলৌতকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সব রাজ্যের বিশিষ্টদের তালিকা তৈরি করে তাঁকে দিতে। রাহুল নিজে দেখা করতে চান তাঁদের সঙ্গে।
পরিস্থিতি বুঝে চাপের মুখে বিজেপিও মোদীকে এখন থেকেই লোকসভার প্রচারে নামিয়ে দিচ্ছে। লোকসভা ভোট পর্যন্ত মোদী গোটা দেশে অন্তত ৫০টি জনসভা করবেন বলে এখনই ঠিক হয়ে গিয়েছে। যে সব রাজ্যে বিধানসভা ভোট আছে, সেখানকার সভা অবশ্য এই হিসেবের বাইরে। মোদীর লক্ষ্য ২-৩টি লোকসভা কেন্দ্র ধরে এক একটি সভা করা। সেই নিরিখে অন্তত দেড়শো লোকসভা জুড়ে তাঁর প্রচার ছড়িয়ে দিতে চাইছেন মোদী। এর মধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে, গত লোকসভা ভোটে মোদীর সফল প্রচারের নেপথ্য কান্ডারি প্রশান্ত কিশোর আবার ফিরছেন বিজেপিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy