Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অসমের ২১টি জেলা বন্যার কবলে

রাজ্যের আরও দুই জেলায় বন্যার জল ঢোকায় সব মিলিয়ে অসমের ২১টি জেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ল। বন্যার্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বন্যার্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪১৪ জন। বন্যার কবলে কামরূপ মহানগর জেলাও।

বানভাসি অসম। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার থেকে ছবিটি তুলেছেন উজ্জ্বল দেব।

বানভাসি অসম। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার থেকে ছবিটি তুলেছেন উজ্জ্বল দেব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৪১
Share: Save:

রাজ্যের আরও দুই জেলায় বন্যার জল ঢোকায় সব মিলিয়ে অসমের ২১টি জেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ল। বন্যার্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বন্যার্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪১৪ জন। বন্যার কবলে কামরূপ মহানগর জেলাও।

সরকারি হিসেব বলছে, মোট ২০৮০ টি গ্রামে ১,৭২,৩০৮ হেক্টর কৃষিজমি তলিয়ে গিয়েছে জলের তলায়। ত্রাণ শিবিরে আস্রয় নিয়েছেন ২,০৬,৬৭৯ জন মানুষ। বন্যায় মরিগাঁওয়ের মায়ং-এ ১ জন, ডিব্রুগড় ও নাহারকাটিয়ায় দু’জন ও গোয়ালপাড়ার মাটিয়ায় দু’জন মারা গিয়েছেন। গতকাল রাতে গুয়াহাটির ধারাপুর এলাকায় শঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তি গাড়ি-সহ খালে পড়ে যান। পরে এনডিআরএফ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। সব মিলিয়ে এখন অবধি তিনটি গন্ডার জলে ডুবে মারা গিয়েছে। বন দফতরের আশঙ্কা বানভাসি কাজিরাঙা, পবিতরায় আরও প্রাণীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

যোরহাট, তেজপুর, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া, ধুবুরিতে ব্রহ্মপুত্র, ডিব্রুগড় জেলায় বুড়িডিহিং, শিবসাগরে দিসাং, গোলাঘাটে ধনসিরি, শোণিতপুরে জিয়াভরালি, নগাঁও জেলায় কপিলি, কামরূপে পুঁথিমারি, বরপেটায় বেকি ও করিমগঞ্জ জেলায় কুশিয়ারা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুভাষচন্দ্র দাস ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব পি কে তিওয়ারি ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, লখিমপুর, ধেমাজির বন্যা পরিস্থিতি আকাশপথে ঘুরে দেখেন। ডিব্রুগড় শহরে হওয়া অভূতপূর্ব বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পরে গগৈ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বনমন্ত্রী এটোয়া মুণ্ডা, ডিব্রুগড় ও তিনসুকিয়ার জেলাশাসক, বিধায়ক প্রণতি ফুকন, প্রশান্ত ফুকন, পৃথ্বী মাঝি, জীবনতারা ঘাটোয়ারদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিকে, নগাঁও জেলার ধিং-এ বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে স্থানীয় জনতার রোষের বলি হন বিধায়ক আমিনুল ইসলাম। তাঁর গাড়িও ভাঙা হয়। পরে, সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল কোনওমতে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE