Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মোদীর জিগির দেখে রাহুল ফের আক্রমণে

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল আর মনমোহন সিংহ পুলওয়ামার ঘটনার পর সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৩
Share: Save:

পুলওয়ামার ঘটনাকে সামনে রেখে জাতীয়তাবাদের জিগির জিইয়ে রাখছেন নরেন্দ্র মোদী। চার দিন চুপ থাকার পর কংগ্রেসও এ বারে পুলওয়ামার খামতি নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করল। শুধু তা-ই নয়, খোদ রাহুল গাঁধীও দিল্লির বুকে বসে বেকারত্ব থেকে নীরব মোদী নিয়ে সরব হওয়া শুরু করলেন। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকও করতে চান তিনি।

পুলওয়ামার ঘটনার পরই রোজ নরেন্দ্র মোদী হুঙ্কার দিচ্ছেন। আজও বলেছেন, গোটা দেশ সেনাদের পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। মোদীর মন্ত্রীরাও রোজ ইঙ্গিত দিচ্ছেন, আর কয়েক দিনের মধ্যেই ‘বড় অভিযান’ হবে। বিরোধীরা এখনও ঠাওর করতে পারছেন না, মোদী কী করে ফেলতে পারেন! তবে এই জিগিরটি আপাতত জিইয়ে রাখা মোদীর লক্ষ্য। আর সেটিকে সামনে রেখে জাতীয়তাবাদের অস্ত্রেও যে শান দিতে চাইছে বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবার, সেটিও আর গোপন থাকছে না। গুজরাতের এক বিজেপি নেতা ভারত পাণ্ড্য তো প্রকাশ্যেই বলে ফেলেছেন, জাতীয়তাবাদকে ভোটে বদল করতে হবে। সঙ্ঘ পরিবার মেরুকরণের তাস খেলতেও শুরু করেছে।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল আর মনমোহন সিংহ পুলওয়ামার ঘটনার পর সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু এখন বিজেপির রাজনীতি দেখে পুলওয়ামার ঘাটতি নিয়েও মুখ খুলতে শুরু করেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আজ ’৫৬ ইঞ্চি ছাতি’র মোদীকে বিঁধে বলেন, ‘‘২০১৪ সালের আগে ছোট ঘটনা ঘটলেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি করতেন নরেন্দ্র মোদী। এখন নিরাপত্তার বড়সড় গলদ সামনে এসেছে পুলওয়ামার ঘটনায়। একসঙ্গে আড়াই হাজার জওয়ানকে এক কনভয়ে নিয়ে যাওয়া নিরাপত্তার বড় ঘাটতি। গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে নাগরিকদেরও সেই সময় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল কী করে?’’

কংগ্রেসের নেতারা বুঝছেন, জাতীয়বাদের জিগির তুলে আর মেরুকরণের রাজনীতি করে দেশের আসল সঙ্কট থেকে নজর ঘোরানোর কৌশল নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে আক্রমণের পুরনো ছন্দে ফিরতে তাই রাহুল নিজে আজ সব বিষয়ে সরব হন। দিল্লিতে ছোট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় রাহুল বলেন, ‘‘টেলিভিশন বিতর্কে সকলে দেশের বৃদ্ধির কথা বলে। ভারত বাড়ছে ৬, ৭, ৮ শতাংশ হারে। কিন্তু রোজগারের কথা কেউ বলেন না। রোজগার কোথায়? রোজগার ছাড়া বৃদ্ধি হতে পারে না। নীরব মোদী কত রোজগার দিয়েছে? বেশি না, কিন্তু তাঁকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এতেই বোঝা যায়, ভারতে কী হচ্ছে।’’

রাহুলের মতে, বিপুল অনাদায়ী ঋণের জন্য ছোট ও মাঝারি ব্যবসা দায়ী নয়। সরকার বড় ব্যবসায়ীদের মদত দিচ্ছে। কিন্তু তারা রোজগার দিচ্ছে না। ছোট শিল্প দিচ্ছে, সরকার সাহায্য করছে না। ভারতই একমাত্র পারে চিনকে টেক্কা দিতে। আর ছোট-মাঝারি শিল্পেরই সেই ক্ষমতা আছে। রাহুল নিজেই জানান, শীঘ্রই এক সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE