জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন।
অন্য রাজ্যে কাশ্মিরীদের ক্ষতি করলে, কর্মসূত্রে কাশ্মীরে থাকা ভিন্ রাজ্যের এক জন শ্রমিকও বেঁচে ফিরবে না বলে হুমকি দিল জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন।
পুলওয়ামার ঘটনার পর থেকেই গোটা দেশের নানা প্রান্ত থেকে কাশ্মীরি-বয়কটের ডাক উঠেছে। নানা ভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন কাশ্মিরীরা। মঙ্গলবার হিজবুল মুজাহিদিনের তরফে ১৭ মিনিটের একটি অডিয়ো রেকর্ড প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে রিয়াজ নাইকো নামে এক হিজবুল কম্যান্ডারকে এমনই হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি দিল্লির উদ্দেশে তাদের বার্তা, ‘‘কাশ্মীর থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়াই একমাত্র সমাধান। যাঁরা পুলওয়ামায় সেনা-হত্যার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছেন, তাঁদের জানা উচিত, ২০১৮ পর্যন্ত অন্তত ৪০০ কাশ্মীরিকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে ভারত।’’
আজও খবর মিলেছে, নাগপুরের যবৎমলে হেনস্থা হতে হয়েছে কিছু কাশ্মীরি কলেজ পড়ুয়াকে। বুধবার রাতে তাঁদের উপরে হামলা চালায় যুবসেনার (শিবসেনার ছাত্র সংগঠন) কর্মীরা। রাত দশটা নাগাদ তাঁরা হোটেলে খেয়ে ভাড়াবাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময়ে তাঁদের মারধর করে কিছু যুবক। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর অবশ্য দাবি করেছেন, পুলওয়ামার ঘটনার জেরে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের কোনও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে আজ
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম টুইট করেন, ‘‘খুবই হতাশাজনক পরিস্থিতি। আমরা কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখতে চাই, কিন্তু কাশ্মীরিদের ভারতীয় হিসেবে দেখতে পারি না!’’
সম্প্রতি কাশ্মীরিদের নিরাপত্তা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী তারিক আদিব। মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় যে ভাবে কাশ্মীরি-বয়কটের ডাক দিয়েছেন, সে কথা উল্লেখ করে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। প্রবীণ আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেসও একই আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। আগামিকাল আবেদনগুলি শুনে দেখা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এলএন রাও এবং বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy