কোনও ভারতীয়কে বাংলাদেশি সন্দেহে বন্দি করা হয়েছে মনে করলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়কই তার জন্য আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করতে পারেন। আজ অসম বিধানসভার স্পিকার হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী এই মতামত দিলেন।
এ দিন বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল খালেকের প্রশ্নের জবাবে রাজ্য সরকার জানায়, ১০০টি বিদেশি শনাক্তকরণ ট্রাইব্যুনালে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪১২টি। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৮০১৯৪ জনকে বিদেশি বলে চিহ্নিত করেছে ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৯ হাজার ৬৬৩ জনকে ‘পুশ ব্যাক’-ও করা হয়েছে। ছ’টি ডিটেনশন শিবিরে বন্দির সংখ্যা ৭২৬। খালেক অভিযোগ করেন, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই বিদেশি সন্দেহে ধৃতরা ভারতীয় বলে চিহ্নিত হয়েছেন। তা থেকেই বোঝা যায়, পুলিশ প্রকৃত ভারতীয়দের হেনস্থা করছে। তিনি বলেন, ‘‘গোয়ালপাড়া ডিটেনশন শিবিরে মায়ানমারের দু’জন ও ১৫-১৬ জন বাংলাদেশি বাদে সকলেই ভারতীয়। অনেকেই আর্থিক অভাবের কারণে ভাল উকিলের ব্যবস্থা করতে পারেননি। জেলাশাসকের দফতর থেকে ভোটার তালিকার প্রতিলিপি, বিভিন্ন প্রামাণ্য নথিও জলদি মেলে না।’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘রাজ্য সরকারের লিগ্যাল এড অথরিটির তরফে দরিদ্র বিচারাধীন ব্যক্তিদের উকিল দেওয়া হোক। জেলাশাসকরের দফতর থেকে দ্রুত দেওয়া হোক সব প্রামাণ্য নথি।’’ পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি জানান, বন্দিরা ইচ্ছে করলে জেলা লিগাল এডের সাহায্য চাইতে পারেন। জেলাশাসকের দফতর থেকে নথি পেতে যাতে বিলম্ব না হয় তা দেখা হবে। ১৫ মার্চ জেলাশাসকদের সঙ্গে সরকারের ভিডিও কনফারেন্সে বিষয়টির উপরে জোর দেওয়া হবে।
স্পিকার হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী বলেন, ‘‘কোনও বিধায়কের যদি মনে হয় অন্যায় ভাবে ভারতীয়কে বন্দি করা হয়েছে, তিনি নিজেই ওই ব্যক্তির জন্য আইনি সাহায্যের ব্যবস্থাও করতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy