—ফাইল চিত্র।
গোয়ায় বড়সড় বিদ্রোহ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে (আরএসএস)। সংগঠনের প্রাদেশিক প্রধান পদ থেকে সুভাষ ভেলিঙ্গকরের অপসারণের প্রতিবাদে জেলা, উপজেলা এবং শাখা স্তরের বিভিন্ন পদাধিকারীরা সংগঠন থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষমা করেছেন। ভেলিঙ্গকরকে পুনর্বহাল না করা হলে প্রায় ৪০০ স্বয়ংসেবক সংগঠন ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গোয়াতে স্থানীয় ভাষার চর্চা বাড়ানোর পরিবর্তে ইংরাজি ভাষার উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে বেশ কয়েক মাস ধরেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন আরএসএস নেতা সুভাষ ভেলিঙ্গকর। গোয়ায় ক্ষমতার আসার আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সরকারি কাজকর্মে কোঙ্কনি, মরাঠির মতো স্থানীয় ভাষার ব্যবহারেই জোর দেওয়া হবে। তা না করে ইংরেজি নিয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে বলে সুভাষ ভেলিঙ্গকর এবং স্বয়ংসেবকদের দাবি। গোয়ার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারসেকর এবং তাঁর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকর গোয়ার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলেও ভেলিঙ্গকর অভিযোগ করছিলেন। গত সপ্তাহে গোয়ায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-র একটি সভায় কালো পতাকা বিক্ষোভ দেখান ভেলিঙ্গকর এবং তাঁর অনুগামীরা।
আরও পড়ুন: ওবামার পর সহিষ্ণুতার পাঠ কেরির মুখে
তার পরে সোমবার এক প্রকাশ্য সভায় ভেলিঙ্গকর জানান, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গোয়ায় তিনি বিজেপিকে জিততে দেবেন না। নতুন একটি দল গঠিত হবে এবং গোয়া আরএসএস সেই দলকে সমর্থন করবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তার পরেই ভেলিঙ্গকরকে সংগঠনের সব দায়দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে দেয় আরএসএস নেতৃত্ব। বর্ষীয়ান আরএসএস নেতা মনমোহন বৈদ্য বলেন, ‘‘ইদানীং তিনি যা করছিলেন, তা রাজনৈতিক কার্যকলাপ। এক জন সঙ্ঘ নেতা এ সব করতে পারেন না। তাই তাঁকে দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া হল।’’ তবে সুভাষ ভেলিঙ্গকরের অপসারণের পর গোটা রাজ্যের স্বয়ংসেবকরা যে ভাবে বিদ্রোহে অবতীর্ণ হয়েছেন, সঙ্ঘ নেতৃত্ব তা একেবারেই আশা করেনি। আরএসএস-এর মতো সংগঠনে এই ধরনের পরিস্থিতি বেশ নজিরবিহীনও।
ভেলিঙ্গকরের অপসারণের পিছনে বিজেপির হাত দেখতে পাচ্ছেন গোয়ার স্বয়ংসেবকরা। বিজেপির দ্বারা পরিচালিত হওয়া আরএসএস-এর ‘লজ্জা’, বলছেন ভেলিঙ্গকর অনুগামীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy