ছবি: সংগৃহীত।
হিন্দু সমাজ পার্টির সভাপতি কমলেশ তিওয়ারি হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল ছয় অভিযুক্তকে। স্বামীর হত্যার বিচার না-পেলে সন্তান-সহ আত্মহত্যার হুমকি দেন কমলেশের স্ত্রী কিরণ। পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করে তিনি জানান, কমলেশকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হত। তাঁর অভিযোগ, কমলেশের মাথা কাটার জন্য দেড় কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন ইমাম মৌলানা আনওয়ার-উল হক ও মুফতি নইম কাজমি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে বিজনৌরের এই দু’জনকে। আরও তিন জনকে ধরা হয়েছে সুরাত থেকে। এক জন ধরা পড়েছে নাগপুরের কাছ থেকে।
তবে কমলেশের ছেলে সত্যম তিওয়ারির দাবি, হত্যাকাণ্ডের কিনারার জন্য এনআইএ তদন্ত করা হোক। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রশাসনের উপরে আস্থা নেই তাঁদের। নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁর বাবাকে খুন হতে হল, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সত্যম জানিয়েছেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা প্রকৃত দোষী নাকি নির্দোষ কাউকে দোষী সাজানো হয়েছে, সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তাঁর। ধৃতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ থাকলে তা এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিংহ জানিয়েছেন, গুজরাত থেকে ফৈজান ইউনুস ভাই, মৌলানা মহসিন শেখ ও রশিদ আহমেদ পঠানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রশিদই মূল চক্রী বলে পুলিশের ধারণা। উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাত পুলিশের আধিকারিকেরা তাদের জেরা করছেন। যৌথ জেরা থেকেই পুলিশ নিশ্চিত হয়, সুরাত থেকে ধৃত তিন জনই কমলেশ হত্যায় জড়িত। রশিদের ভাই ও গৌরব তিওয়ারি নামে আরও দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ নেই বলে জানিয়েছে যোগী সরকার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লখনউয়ে হিন্দু সমাজ পার্টির অফিসে কমলেশের সঙ্গে দেখা করতে যায় দু’জন। হাতে ছিল মিষ্টির বাক্স। দু’পক্ষের কথোপকথনের পরে মিষ্টির বাক্স থেকে ধারালো অস্ত্র বার করে কমলেশকে কোপাতে শুরু করে এক জন। গুলি চালায় অন্য জন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কমলেশের।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পরিবারের সঙ্গে দেখা করুক, শুক্রবার এই দাবি জানান কিরণ। দুই ছেলের সরকারি চাকরির দাবিও জানান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy