Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

৫০ লক্ষের কাজ খেয়েছে নোটবন্দি!

বছরে ২ কোটি তো দূর স্থান, এই জমানায় কাজের সুযোগ যে কমেছে, সেটা বুঝেই মোদী বা তাঁর দল এখন কর্মসংস্থান নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫৩
Share: Save:

বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগটা উঠেছে আগেই। এ বার ‘সেন্ট্রার ফর সাস্টেনেবল এমপ্লয়মেন্ট (সিএসই)’-এর নতুন রিপোর্টে দাবি করা হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোটবন্দির কথা ঘোষণা করার পরে দেশের অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষ কাজ খুইয়েছেন। কাজ খোয়ানো এই সব মানুষের বেশির ভাগই অসংগঠিত ও সমাজের দুর্বল অংশের।

বেঙ্গালুরুর আজ়িম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা কেন্দ্রটি ‘স্টেট অব ওয়ার্কিং ইন্ডিয়া-২০১৯’ নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মঙ্গলবার। তাতেই বলা হয়েছে, ৫০ লক্ষ মানুষের কাজ খোয়ানোর কথাটি উঠে এসেছে সামগ্রিক তথ্য খতিয়ে দেখে। নতুন কত পিএফ অ্যাকাউন্ট তৈরির হয়েছে, কিংবা অন্যান্য সূত্র ধরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হিসেব পেশ করেছে সরকার। কিন্তু তাতে আমল দিতে নারাজ সিএসই। তাদের রিপোর্টের বক্তব্য, সরকার যেগুলির কথা বলছে, সেই সব কাজের বেশির ভাগই তৈরি হয়েছে সংগঠিত ক্ষেত্রে।

রিপোর্টটির প্রধান লেখক তথা সিএসই-র প্রধান অমিত বাসোলকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান যা কিছু হয়েছে, সে সব ধরে নিয়েও দেখা যাচ্ছে প্রচুর মানুষ কাজ খুইয়েছেন নোটবন্দির পরের ক’মাসে। সংখ্যাটা অন্তত ৫০ লক্ষ। দেশের অর্থনীতির পক্ষে যা সুলক্ষণ নয়। বিশেষ করে যখন দেখছি, দেশের মোট উৎপাদন তথা জিডিপি বৃদ্ধির হার বেশ উঁচু। এমন হলে কাজের সুযোগের হ্রাস নয়, বৃদ্ধিই দেখতে পাওয়া উচিত। সেটা হয়নি।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বছরে ২ কোটি তো দূর স্থান, এই জমানায় কাজের সুযোগ যে কমেছে, সেটা বুঝেই মোদী বা তাঁর দল এখন কর্মসংস্থান নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না। বিরোধীরা যা নিয়ে বিঁধছে ভোটের প্রচারে। তবে সিএসই-র রিপোর্টে মূল যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে তাতে স্পষ্ট, ২০১১ সাল থেকেই দেশে বেকারত্বের হার বাড়ছে। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ শতাংশ (২০০০-২০১১-র তুলনায় দ্বিগুণ)। বেকারদের মধ্যে শিক্ষিত ও তরুণদের সংখ্যাই বেশি। বেশির ভাগেরই বয়স ২০ থেকে ২৪-এর মধ্যে। মহিলাদের মধ্যে কর্মহীনতার হার বেশি। বয়স যাঁদের ৩৫ বছরের নীচে এবং ১০ বা ১২ ক্লাস পাশ করেছেন— তাঁদের মধ্যেই বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ সবচেয়ে বেশি।

কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ কী? এই প্রশ্নে রিপোর্টে কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক, শহরাঞ্চলে অসংগঠিত ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া। দুই, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে জোর দেওয়া। এতে বেশ খানিকটা বাড়তে পারে কর্মসংস্থান। তিন, খরচ যেন উৎপাদনমুখী হয়। তাতে রাজস্ব ঘাটতি উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠবে না। চার, উপযুক্ত শিল্পনীতি। অমিত বাসোলের কথায়, ‘‘শিল্পনীতির প্রশ্নে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ঢের বেশি সুসংহত হওয়া প্রয়োজন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE