অদম্য: অমগোথ তুকারাম। ছবি ফেসবুক থেকে।
ছোট থেকেই পাহাড় চড়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। সাতটা পাহাড়চূড়ার স্বপ্ন।
সেই ১৭ বছর বয়স থেকেই একটা স্বপ্নের পিছনে ছুটেছেন তেলঙ্গানার রাঙা রেড্ডি জেলার ইব্রাহিমপটনম গ্রামের বাসিন্দা বছর কুড়ির অমগোথ তুকারাম। এভারেস্টের অদম্য টান তাঁকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। যেমনটা তাড়িয়ে বেড়ায় আর পাঁচ জন পর্বতারোহীকে।
তেমন আর্থিক সামর্থ্য ছিল না কোনও দিনই। তবু পাহাড়ের টানে পা বাড়িয়েছিলেন। রাচাকোন্ডার পুলিশ কমিশনার মহেশ ভাগবত, তেলঙ্গানার পর্যটন কমিশনার সুনীতা ভাগবত, তেলঙ্গানা সরকারের উপদেষ্টা রামচন্দ্রু তেজাওয়াতের মতো অনেকেই আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। সাহায্য করেছিল খোদ তেলঙ্গানা সরকারও।
আর শেষমেশ স্বপ্নপূরণ। মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো অভিযান শেষ করার পরে গত ২২ মে বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গে পা রাখেন তুকারাম। কিন্তু তার জন্য কম মূল্য দিতে হয়নি তাঁকে। জানালেন, চোখের সামনে বরফের শয্যায় চিরঘুমে ঘুমিয়ে পড়েছেন সহ-অভিযাত্রী বন্ধুরা। খারাপ আবহাওয়ার লাল চোখ, চোখের সামনে বন্ধু-মৃত্যু বা মৃত্যুভয়, কোনও কিছুই টলাতে পারেনি তুকারামকে। বরং উল্টে এভারেস্টকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গজয়ের পরে বললেন, ‘‘আমি চেয়েছি আমার দেশকে গর্বিত করতে।’’ তবে সব কিছুর শেষে বন্ধু-বিয়োগের বিষাদই যেন ছলকে উঠল তুকারামের গলায়।
গত ৬ এপ্রিল যাত্রা শুরু করেন। বাজে আবহাওয়ার দাপটে চোখের সামনে মারা যান তাঁর দলের দুই সঙ্গী। তুকারামের কথায়, ‘‘পাহাড় চড়া বন্ধ করিনি। নিরাপদে শৃঙ্গজয় শেষ করতে পেরে ভাল লাগছে।’’ তুকারামের সাফল্যে খুশি গোটা তেলঙ্গানা। রাচাকোন্ডার পুলিশের কমিশনার মহেশ ভাগবত শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের ভরসা ছিল ওঁর উপরে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy