সাত অপহরণকারীকে গ্রেফতার করল কাছাড় পুলিশ। তাদের মধ্যে দু’জন আলফার প্রাক্তন জঙ্গি ও দু’জন ডিএইচডি (অ্যাকশন) গোষ্ঠীর সদস্য। দলে রয়েছে একজন স্বেচ্ছাবসর নেওয়া পুলিশকর্মীও। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল মিলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আগাম খবরের ভিত্তিতে অপহরণকারীদের গ্রেফতার করতে পারায় দু’টি অপহরণ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
অপহরণকারীরা প্রথমে বিক্রমপুর চা বাগানের ম্যানেজারকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিল। গোপন সূত্রে তা পুলিশ জেনে যায়। শুরু হয় অভিযান। প্রথমে জিরিঘাট থেকে ধরা পড়ে পঙ্কজ ফুকন নামে আলফার প্রাক্তন ক্যাডার। তাকে জেরা করে চন্দ্র রাজবংশী ও মৃন্ময় চৌধুরীকে ধরা হয়। মৃন্ময় বিক্রমপুর বাগানের কর্মচারী। চন্দ্রও আলফায় ছিল বহুদিন।
এদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, রংপুরের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের জন্য দলের অন্যরা ওঁৎ পেতে রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা হল জনেশ হোজাই, পবিত্র বাটারি, দেবাশিস রাজোয়া ও পার্থজিৎ। জনেশ ও পবিত্র ডিএইচডি-অ্যাকশন গোষ্ঠীর শীর্ষকর্তা বলে নিজেদের পরিচয় দেয়। দেবাশিস গাড়ির চালক। পার্থজিৎ ওরফে অসিত থাওসেন ২১ নং ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল ছিল। চাকরি ছেড়ে দিয়ে অপহরণকারী চক্রের সদস্য হয় সে।
বরাক উপত্যকায় দীর্ঘদিন ধরেই অপহরণের বড়সড় চক্র গড়ে উঠেছে। নাগাড়ে চলছে অপহরণের ঘটনা। সকলের থেকেই মোটা মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে আরও ক’জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy