প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের অভিযোগ করতে গিয়েছিল বছর পনেরোর কিশোরী। কিন্তু সেই অভিযোগ নেওয়া তো দূর, উল্টে ওই কিশোরীকেই কনকনে ঠান্ডার মধ্যে সাত ঘণ্টা ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার হরিয়ানার ফরিদাবাদের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী এ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসিন্দা। মেল টুডে-কে সে জানিয়েছে, এলাকারই একটি ছেলে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। তার হাত ধরেই বাড়ি থেকে পালিয়েছিল সে। ফরিদাবাদে ছেলেটির কাকার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল দু’জনে।
ওই কিশোরী মেল টুডে-কে আরও জানিয়েছে, তাকে কাকার বাড়িতে রেখে বেরিয়ে যায় ছেলেটি। অভিযোগ, ভাইপোর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে কাকা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে একটি বাজারে আশ্রয় নেয় সে।
আরও পড়ুন: সচিনের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব, শ্রীঘরে মহিষাদলের যুবক
শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই পাশেরই একটি হাউজিং কমপ্লেক্সে পৌঁছে নিরাপত্তারক্ষীকে গোটা বিষয়টি খুলে বলে সে। তিনি পুলিশে খবর দেন। অভিযোগ, সরাই খাজা থানার আধিকারিক এ বিষয়ে সাহায্য করতে অস্বীকার করেন। উল্টে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে পরামর্শ দেন কমপ্লেক্স থেকে কিশোরীকে বের করে দিতে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই কমপ্লেক্সের বাসিন্দারা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে খবর দেন। তারা এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে ফরিদাবাদের শিশুকল্যাণ কমিটির হাতে তুলে দেন। পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ছেলেটি বিবাহিত।
আরও পড়ুন: গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু জাতীয় পর্যায়ের ৪ পাওয়ার লিফ্টারের
খবর দেওয়া হয় কিশোরীর পরিবারকেও। তার পরিবার ইটাহার থানায় ওই ছেলেটির বিরুদ্ধে অপহরণের একটি মামলা দায়ের করেছে। এর সঙ্গে কোনও পাচারচক্র জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইটাহার থেকে ফরিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পুলিশের একটি দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy