রাজ্য কাঁপানো অভিজিৎ নাথ ও নীলোৎপল দাসের হত্যাকাণ্ডের শুনানি চলছে নগাঁও আদালতে। তার মধ্যেই কার্বি আংলংয়ের ডকমকা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে ওই দুই যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনাকে থিম করে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে মণ্ডপ সাজাচ্ছে বেলতলা লক্ষ্মীমন্দির সর্বজনীন দুর্গোৎসব উদ্যাপন সমিতি। আর তা নিয়েই তীব্র আপত্তি তুলে ওই থিম বন্ধের দাবি তুলল কার্বি ছাত্র সংগঠন।
বেলতলার পুজোয় থিম ডাইনি প্রথা, অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার বিরোধী বার্তা। ৮ জুন কার্বি আংলংয়ের কান্থিলাংসো জলপ্রপাত দেখে ফেরার পথে ডকমকায় আড়াইশো গ্রামবাসী গুয়াহাটির দুই যুবক, অভিজিৎ নাথ ও নীলোৎপল দাসকে দীর্ঘক্ষণ ধরে পিটিয়ে-কুপিয়ে খুন করে। ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনাকে সামনে রেখেই অন্ধবিশ্বাস বিরোধী বিভিন্ন মডেল তৈরি করা চলছে। ঘটনার পরে জলপ্রপাতের নাম বদলে অভিজিৎ ও নীলোৎপলের নামে রাখার দাবি জোরদার হয়। থিমের মণ্ডপে কান্থিলাংসো জলপ্রপাতের নাম বদলে অভি-নীল জলপ্রপাত রাখা হয়েছে। হাতি-মানুষ সংঘাত, পাহাড় কেটে রেলপথ, গ্রাম তৈরির ফলে হাতি করিডর নষ্ট হওয়ার মতো বিষয়গুলিও তুলে ধরা হয়েছে। ২৫ ফুট উঁচু, ২০০ ফুট লম্বা বেলতলার মণ্ডপ তৈরির দায়িত্বে আছেন অখিল সিংহের নেতৃত্বে ২০ জন শিল্পী।
কিন্তু কার্বি ছাত্র সংগঠন এবং ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি ফর অটনমাস স্টেট’ বা ‘জাকাস’ অবিলম্বে ওই বিতর্কিত ঘটনাকে বেলতলার পুজোর থিম থেকে বাদ দিতে বলেছে। তাদের দাবি, কান্থিলাংসো জলপ্রপাতের নাম বদলের চেষ্টাও মানা হবে না। এ জন্য তারা কামরূপ মহানগর প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে। জাকাসের মতে, ওই হিংসার ঘটনাকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy