আরও একটা শহিদ মিনার তৈরি হবে বরাক উপত্যকায়। এ বার কাছাড় জেলার উধারবন্দে। ১৬ মে সেটির উদ্বোধন করবেন রাজ্যের পরিবহণ, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অজিত সিংহ। ‘মাতৃভাষা ঐক্যমঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন ১৬ লক্ষ টাকা খরচে ফাইবার গ্লাসের ওই মিনার তৈরি করিয়েছে। শিল্পী স্থানীয় ভাস্কর স্বপন পাল।
ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জু রায় জানিয়েছেন, ১০ ফুট উঁচু ভিতের উপর বসবে ২১ ফুট উঁচু ভাষাশহিদ-স্মারক। তাঁদের দাবি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এত উঁচু শহিদ স্মারক আর নেই। সঞ্জুবাবু জানান, শহিদ মিনারের উদ্বোধন ভাষাশহিদ দিবস পালনের অঙ্গ। তাঁরা এ বার ৪ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। প্রথম দিন স্কুলপড়ুয়াদের শোভাযাত্রা ও শহিদ মিনারের উদ্বোধন। ১৭ মে উধারবন্দের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরের দিন স্থানীয় ও আমন্ত্রিত শিল্পীদের নিয়ে সঙ্গীত-নৃত্যানুষ্ঠান। ১৯ মে ভাষাশহিদ দিবসে দিনভর নানা কর্মসূচি। তার মধ্যে রয়েছে শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পত্রিকা উন্মোচন।
অসমিয়া ভাষাকে অসমের এক মাত্র রাজ্যভাষা করতে বিধানসভায় বিল আনা হলে বরাক উপত্যকা প্রতিবাদে মুখরিত হয়ে উঠেছিল। দাবি ওঠে, বরাকে বাংলাকে রাজ্যভাষার মর্যাদা দিতে হবে। ১৯৬১ সালের ১৯ মে উপত্যকার সর্বত্র সত্যাগ্রহ পালিত হয়। শিলচর রেলস্টেশনে সত্যাগ্রহীদের উপর পুলিশ গুলি চালালে ১১ জন তরুণ-তরুণী প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাঁদের স্মরণেই এই দিনটি বরাকে ভাষাশহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি—তিন জেলা সদরে শহিদ মিনার, স্মৃতিসৌধ রয়েছে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে শহিদ মিনার, শহিদ স্মারক। তা ছাড়া উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের উদ্যোগ নজরে পড়ে। গত বছর ব্যক্তিগত খরচে করিমগঞ্জ জেলার বারইগ্রামে শহিদ-স্মারক বানিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক প্রমাংশু দত্ত। এ বার হল উধারবন্দে। মাতৃভাষা ঐক্যমঞ্চের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কয়েক জনের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পেয়েছেন। সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy