—ফাইল চিত্র।
পর্দার এক দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অন্য দিকে জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্চিনিয়ারিং কলেজের ছয় পড়ুয়া। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সৃষ্টি সরকার নিজের দলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলছেন, “স্যর, আমরা জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের টিম। আমাদের দলের নাম ডেয়ার ডেভিল।” ছাত্রীর কথা থামিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “আচ্ছা, আপনিও সরকার! আমিও তো সরকার!” এই কথায় খানিক হেসে নিয়ে ছাত্রীর জবাব, “আপনি দেশের সরকার, আমি নিজের বাড়ির সরকার।” প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘কিন্তু আমরা আসলে সাময়িক সরকার।’’ মঙ্গলবার সকালে সারা দেশ এমনই কথোপকথনের সাক্ষী থাকল।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও কারিগরি শিক্ষা কাউন্সিল দেশ জুড়ে স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন নামে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। দেশের সব আইআইটি, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণ করেন। জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ২০টি দল গিয়েছিল। যে দলটির সঙ্গে এ দিন প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে, তাঁরা অপুষ্টির সমস্যা নিয়ে কাজ করে দেশের মধ্যে প্রথম।
অপুষ্টি নিয়ে নানা মডেল প্রদর্শনী হয়েছিল তিরুপতিতে। সেখান থেকেই হয় ভিডিয়ো কনফারেন্স। জলপাইগুড়ি কলেজের পড়ুয়ারা একটি অ্যাপ বানিয়েছেন। অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর তথ্য সেই অ্যাপে দিলে তা হাসপাতাল, পুর্নবাসন কেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্ট দফতর ও স্বেচ্ছাসবী সংগঠনের কাছে পৌঁছে যাবে। কোন শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে, তা-ও নির্ধারণ করবে এই অ্যাপ। সৃষ্টি পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে শোনান। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খুব ভাল লাগছে যে, আপনারা সমস্যাটির গভীরে গিয়েছেন। সমাধান করতে গেলে কোন বিষয়গুলি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, সেগুলিও বুঝেছেন।”
কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন, “ওদের জন্য আমি গর্বিত। আমাদের আর একটি দল জিপিএসের মাধ্যমে সুনামির পুর্বাভাস দেওয়া নিয়ে জাতীয়স্তরে দ্বিতীয় হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy