আধার ফাঁস হয়ে গেলেও কিছু যায় আসে না, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিতই থাকে— এমন দাবি করে নিজের ১২ অঙ্কের আধার নম্বর আজ টুইট করে দিয়েছিলেন খোদ টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাইয়ের চেয়ারম্যান আর এস শর্মা। লিখেছিলেন, ‘ আমার আধার নম্বর ...... চ্যালেঞ্জ করছি, আমার ক্ষতি করে দেখান। অন্তত একটা উদাহরণ তো দিন।’
উত্তরও পেলেন হাতেনাতে। ফরাসি ওয়েব-সুরক্ষা বিশারদ, যিনি এলিয়ট অ্যাল্ডারসন নামেই টুইট করেন, শর্মার ঠিকানা, জন্মতারিখ, ফোন নম্বর টুইট করে প্রমাণ করে দেন যে কারও আধার নম্বর হাতে পেলে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য জানা কত সহজ! এলিয়ট লিখেছেন, ‘‘অন্যেরা আপনার জন্মতারিখ, ঠিকানা, ফোন নম্বর পেয়ে গিয়েছে। এখন বুঝেছেন তো নিজের আধার নম্বর জানিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি?’’ শর্মার উত্তর মেলেনি। আগামী মাসেই ওই পদে তাঁর মেয়াদ ফুরোচ্ছে।
দেশে আধার বাধ্যতামূলক করার পক্ষে বরাবরই সরব শর্মা। তাঁর এ-ও দাবি, আধার তথ্য খুবই সুরক্ষিত এবং এ যাবৎ দেশে একজনেরও তথ্য ফাঁস হয়নি। অথচ বাস্তব তার বিপরীত। এলিয়টই তাঁর টুইটে ভারতের অনেক নাগরিকের আধার তথ্য আংশিক জানিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে তা ‘হ্যাক’ করা সহজ। এবং একবার তা করা গেলে নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ অনেক গোপন তথ্যই হ্যাকারদের হাতের মুঠোয় চলে আসবে। আজও তিনি শর্মার ছবি এবং আধার-তথ্যের স্ক্রিনশট টুইট করেছেন, তথ্যের অংশগুলি আবছা করে দিয়ে। ফলে এই ঘটনায় নতুন করে দেশে আধার-তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠেইছে, এ চর্চাও হচ্ছে যে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এমন ‘ছেলেমানুষি’ করেন কী করে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy