বিধায়ক অলকা লম্বার পদত্যাগের জল্পনাতেও আজ ইতি টেনেছেন সিসৌদিয়া।—ছবি পিটিআই
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে দিল্লিতে জোটের বিষয়ে যখন আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে আলোচনা চলছে, তখন দিল্লি বিধানসভায় আপ বিধায়ক জার্নেল সিংহ শিখ দাঙ্গার নিরিখে রাজীব গাঁধীর ভারতরত্ন সম্মান প্রত্যাহারের প্রস্তাব আনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে কেজরীবালের দল। গতকাল দলীয় ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান আপ বিধায়ক অলকা লম্বা। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হওয়ায় আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে আপ নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, রাজীবের ভারতরত্ন সম্মান প্রত্যাহার করার কোনও দাবি দল তোলেনি।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল। দিল্লি বিধানসভার অধিবেশনে আপ বিধায়ক জার্নেল সিংহ রাজীব গাঁধীর ভারতরত্ন সম্মান প্রত্যাহার করার প্রস্তাব আনেন। অভিযোগ, ধ্বনি ভোটে সে প্রস্তাব পাশও হয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান বিধায়ক অলক লম্বা। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনে বিজেপিকে হারাতে জোটের সলতে পাকানোর প্রক্রিয়া চলছে এখন। এ সময় এ ধরনের পদক্ষেপ সে সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে পারে বুঝে গতকাল গভীর রাত থেকেই সক্রিয় হয় আপ নেতৃত্ব। আজ মুখ খুলে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া বলেন, ‘‘বিধানসভায় শিখ দাঙ্গা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। বিধায়ক জার্নেল সিংহের আসল প্রস্তাবে রাজীব গাঁধীর ভারতরত্ন সম্মান প্রত্যাহারের কোনও দাবি ছিল না। ওই অংশটুকু পরে হাতে লিখে জুড়ে দেন বিধায়ক। কোনও বিধায়ক তাঁর ব্যক্তিগত মতামত জানাতেই পারেন। কিন্তু তা দলের অবস্থান নয়।’’
বিধায়ক অলকা লম্বার পদত্যাগের জল্পনাতেও আজ ইতি টেনেছেন সিসৌদিয়া। তিনি বলেন, ‘‘দল কাউকে ইস্তফা দিতে বলেনি। অলকা মোটেই ইস্তফা দিচ্ছেন না।’’ দলীয় বার্তা পেয়ে নিজের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসেন অলকাও। তিনি জানান, ‘‘দলের বক্তব্যে আমি খুশি। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি না।’’ তবে যে ভাবে এর মধ্যে রাজীব গাঁধীকে টেনে আনা হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলীয় নেতা অজয় মাকেন এর জন্য কেজরীবালের ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করেছেন। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপিও। রাজ্য বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে দুই মেরুর দুই দল যে হাত মেলাতে চাইছে, তা জনগণের কাছে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy