প্রতীকী ছবি।
অরবিন্দ কেজরীবালের সমর্থনে ধস নামলেও, জনমত সমীক্ষা বলছে দিল্লি দখল এখনও দূর অস্ত্ নরেন্দ্র মোদীর কাছে।
গত লোকসভা ভোটের পর মোদী ঝড় চলছে, তখন বিহার ও দিল্লি বিধানসভায় ক্ষমতা দখলে ব্যর্থ হয়েছিল বিজেপি। বুধবার আপ সরকারের তিন বছরের মাথায় জনমত সমীক্ষা জানাচ্ছে— এখন বিধানসভা ভোট হলেও রাজধানী জয় অধরাই থেকে যাবে প্রধানমন্ত্রীর। তবে লোকসভার ৭টি আসনের সব ক’টিই ধরে রাখতে পারে তারা। অনেক সময়েই এই ধরনের সমীক্ষার ফল মেলেনি, তবে জনমানসের প্রবণতার একটি আভাস সমীক্ষা থেকে মেলে।
রাজধানীর ৪,১৭০ জন ভোটারকে নিয়ে এবিপি-নিউজ এবং সি ভোটারের সমীক্ষা জানিয়েছে— সরকার গড়ার জায়গায় কেজরীবাল থাকলেও, একাধিক আসন খোয়াবেন। দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে আপের আসন ৬৭ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৪১টিতে। গরিষ্ঠতার চেয়ে ৫টি বেশি। অর্থাৎ একাধিক কেলেঙ্কারি, ২০ বিধায়কের সদস্যপদ বাতিলের পরেও সরকারে ফেরার আশা করতে পারে আপ। আবার ভোটের হার না-বাড়লেও, আসন ৩ থেকে ২৫-এ নিয়ে যেতে পারে বিজেপি। গত বিধানসভা ভোটে কেজরীবালের কাছে কার্যত সাফ হওয়া কংগ্রেসের আসন সে ভাবে না-বাড়লেও, প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ বাড়তে পারে প্রায় ১০%।
সন্ধ্যায় আসা সমীক্ষার ফলে আপ শিবির কিছুটা মুষড়ে পড়লেও, আজ সকাল থেকে বর্ষপূর্তি উদযাপন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন কেজরীবাল। প্রত্যেক বিভাগের রিপোর্ট কার্ড পেশ করেন তিনি। বিদ্যুতে ৫০ শতাংশ ছাড় বা বিনামূল্যে ২০ কিলোলিটার জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কী ভাবে তাঁর সরকার পূরণ করেছে, তার ফিরিস্তি দেন। তবে এক হাজার মহল্লা ক্লিনিকের মধ্যে মাত্র দেড়শোটি খোলা গিয়েছে, সেটাও স্বীকার করে নেন।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে এ দিন বিক্ষোভ দেখাতে চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। তবে পুলিশ দিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। কেজরীর বর্ষপূর্তি আজ মিলিয়ে দিয়েছে কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত ও অজয় মাকেনকেও। তিন বছরে প্রথম এক মঞ্চে এলেন দু’জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy