ফাইল চিত্র।
চিনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সরকার যাতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে, তার জন্য চাপ তৈরি হচ্ছিলই। শেষ পর্যন্ত গালওয়ানের ঘটনার পরে চাপের মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই বৈঠক ডাকল। কিন্তু বিতর্ক তৈরি হল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দলকে না ডাকায়। লালু-র আরজেডি, অরবিন্দ কেজরীবালের আপ এবং আসাদউদ্দিন ওয়েইসি-র এআইএমআইএম-কে ডাকা হল না এই বৈঠকে। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, যাদের ন্যূনতম পাঁচ জন সাংসদ নেই, সেই দলগুলিকে বাইরে রাখা হয়েছে। কিন্তু এই যুক্তিটিও যে ধোপে টিকছে না, তা জানাচ্ছে রাজনৈতিক শিবির। তেলুগু দেশম, সিপিআই-এর মতো দলকে ডাকা হয়েছে, যাদের সাংসদ সংখ্যা পাঁচের কম। রাখা হয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট দলগুলিকেও। তবে সে ক্ষেত্রে সরকার পক্ষের যুক্তি, চিনের সীমান্ত আগ্রাসনের প্রশ্নে এই রাজ্যগুলির গুরুত্ব রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আজ সরব হয়েছে আমন্ত্রণ না পাওয়া দলগুলি। আরজেডি-র বক্তব্য, সামনেই বিহারে ভোট। সে দিকে লক্ষ্য রেখে দলীয় রাজনীতি শুরু করেছেন মোদী-অমিত শাহ। দলের রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, লোকসভায় না থাকলেও রাজ্যসভায় তাঁর দলের সাংসদ সংখ্যা ৬। গালওয়ান উপত্যকায় নিহত কর্নেল নিজেও বিহার রেজিমেন্টের। পাশাপাশি নেপালের সীমান্তবর্তী রাজ্য হিসেবেও বিহারের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। প্রথমে স্থির হয়, এ নিয়ে পটনাতেই ধর্নায় বসবে দল। কিন্তু পরে তেজস্বী যাদবের নির্দেশে দিল্লিতে সংসদের বাইরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ধর্নায় বসেন মনোজ ঝা।
আপকে কেন ডাকা হল না, তা নিয়েও চলছে জল্পনা। কোভিড মোকাবিলায় অমিত শাহের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করতে দেখা গিয়েছে কেজরীবালের দলকে। আজ ক্ষুব্ধ আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ টুইট করে বলেন, ‘‘এক অদ্ভুত অহং সর্বস্ব সরকার কেন্দ্রে রয়েছে। আপ-এর সরকার দিল্লিতে। কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের মত নেওয়া হল না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy